কাটমানি নিয়েছিলেন লালপার্টির নেতাও, ফেরত দিয়ে নজির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম নেতৃত্বের
কাটমানি নিয়েছিলেন লালপার্টির নেতাও, ফেরত দিয়ে নজির জেলা সিপিএম নেতৃত্বের
কাটমানি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, সেই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন সিপিএম-এর এক নেতা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পঞ্চায়েতের ওই নেতার নাম সুবীর মণ্ডল। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত হয় দলের মধ্যেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী অভিযুক্ত নেতাকে বহিষ্কার করে টাকা ফেরত করানোর দায়িত্ব নেয় জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএম-এর এই কাজের প্রশংসা করেছে তৃণমূল।
কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সিপিএম নেতাকে বহিষ্কার
২০১৭ সালে দাসপুর-২ ব্লকের রানিচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার পাশে গাছ কেটে বিক্রির জন্য টেন্ডার হয়েছিল। অভিযোগ সেই সময় পঞ্চায়েতের প্রাচ্য ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বাইরেও ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সিপিএম-এর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুবীর মণ্ডল। তিনি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও বটে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিশন হয়। ঠিকাদারকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।
টাকা ফেরত করিয়ে নজির সিপিএম-এর
ঠিকাদার রবিয়াল হোসেন জানিয়েছেন, ওই নেতা বাড়তি টাকা নেওয়ার পরেই তিনি সিপিএম নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। দুবছর পর হলেও তিনি সেই টাকা ফেরত পেয়েছেন।
প্রশংসার কাজ, বলছে তৃণমূল
টাকা ফেরতের খবর পাওয়ার পর খুশি দাসপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেছেন, দাসপুরে সিপিএম এই কাজ করে থাকলে তা প্রশংসার যোগ্য।
এখনও রয়েছে দলের প্রতি আনুগত্য, বললেন বহিষ্কৃত নেতা
কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও, বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু মন্তব্যে নারাজ ওই নেতা সুবীর মণ্ডল। তবে তিনি বলেছেন, কোনও ভুল করে থাকলে শুধরে নেওয়াই ভাল। দলের প্রতি তাঁর কোনও রাগ কিংবা অভিমান নেই। সিপিএম-এর প্রতি তাঁর আনুগত্য থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।