ভোট আসতেই মানুষ কিনছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেস বিধায়কের
পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে কিনে নিতে চাইছেন। তিনি বিভিন্ন ঘোষণায় মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ বিধায়কের।
পঞ্চায়েত ভোট দরজায় কড়া নাড়তেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজ্যে। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক। মোথাবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন তোপ দেগে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে কিনে নিতে চাইছেন। তিনি বিভিন্ন ঘোষণায় মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ বিধায়কের।
[আরও পড়ুন:৫ লক্ষ পরিবারকে 'আশ্রয়' দিলেন মমতা, এবার থেকে দু'বারেই মিলবে অনুদানের টাকা]
সম্প্রতি রাজস্থানে নৃশংসভাবে নিহত হন মালদহের এক সংখ্যালঘু শ্রমিক শেখ আফরাজুল। তাঁর মৃত্যুর পরই রাজ্য সরগরম হয়ে ওঠে। এরপর ভিনরাজ্যে বাংলার একাধিক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, 'আর কোনও শ্রমিককে কাজের তাগিদে ভিনরাজ্যে যেতে হবে না। তঁদের রাজ্যেই কাজ দেওয়া হবে। যাঁরা বাইরে কাজে গিয়েছেন, তাঁরা ফিরে আসুন, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানও দেওয়া হবে।'
এরপর থেকেই জেলা প্রশাসনের দফতরে শ্রমিকদের লাইন পড়ছে প্রতিদিন। নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতেই এই ভিড় জমছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস বিধায়ক অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে টাকা দেওয়ার জিগির তুলে রাজনীতি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে তাঁর একাধিক প্রশ্ন রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন।
বিধানসভার অধিবেশন শুরুর পর তিনি এই প্রশ্নগুলি উত্থাপন করবেন বলেও জানান। তিনি বলেন, 'শুধু মালদহ নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে টাকা দেওয়ার এই রাজনীতি হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট আসতে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। এই ঘটনা পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষকে কেনারই নামান্তর।'
[আরও পড়ুন:বদলে যাচ্ছে ঐতিহ্যের মেডিকেল কলেজের নাম! পড়ুয়াদের প্রস্তাবে সিলমোহরের অপেক্ষা ]
তাই তিনি প্রশ্ন তুলবেন- পরিষায়ী শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? ভিনরাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের জীবন সুনিশ্চিত করতে কী করা হয়েছে এখন পর্যন্ত? ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মানদণ্ড কী? কোন তহবিল থেকে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে? কেন টাকা দেওয়ার এই রাজনীতি?
তাঁর অভিযোগ, এই ৫০ হাজার টাকা করে দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে কিনে নিতে চাইছেন। ভোট কিনতেই এই টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি এই ব্যাপারে জবাবদিহি চাইবেন রাজ্য সরকারের।