বিজেপির উত্থান কংগ্রেস-সিপিএমের পদস্খলনে, ভোট শতাংশের হিসেবে একুশের বিকল্প ভাবনা
বিজেপির উত্থান কংগ্রেস-সিপিএমের পদস্খলনে, ভোট শতাংশের হিসেবে একুশের বিকল্প ভাবনা
কংগ্রেস ও সিপিএম দু'দলের নেতারা চাইছেন বুথ লেভেল পর্যন্ত জোট করতে। শুধু উপরে জোট করলে হবে না, বুথ পর্যায়ের একত্র হয়ে কাজ করতে হবে, তবেই সাফল্য আসবে। যে ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে তারা, তা পুনরুদ্ধার করতে বুথ পর্যায়ে হাতে হাত ধরা দরকার বলে মনে করছে উভয়েই।
সিপিএম এবং কংগ্রেস উভয়ই জোট বাঁধছে বিকল্প দিতে
২০২১ নির্বাচনের কৌশল রচনা করতে আগামী ২৪ জুন বৈঠকে বসে কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব। আসন্ন রাজ্য নির্বাচনে জোটের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে একমত হয়েছেন দুই দলের নেতারা। ২০২১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সিপিএম এবং কংগ্রেস উভয়ই এক হয়ে এগতে চাইছেন।
২০১১-২০১৬ : কংগ্রেস-সিপিএমের হারানো ভোট
একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট এবং ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনগুলি কংগ্রেস প্রায় ৭.৩ শতাংশ ভোট হারিয়েছে। সিপিএম হারিয়েছে ৯.৮৮ শতাংশ ভোট। উভয়ে মোট ১৭ শতংশ ভোট হারিয়েছে। সেই ভোট গিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির কাছে।
বিজেপির ভোটপ্রাপ্তি : ২০১৬ থেকে ২০১৯
আবার ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভোটপ্রাপ্তি ছিল ১০.২ শতাংশ এবং ২০১৯ লোকসভায় সেটি ৪০.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিজেপির প্রতি হিন্দুদের একত্রিত হওয়ার কারণে এখানে ৩০.১ শতাংশ ভোট ভাগ বেড়েছে। বিগত তিন বছরে বিজেপি বাংলায় ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করেচে। ফলে ভোটে তার প্রভাব পড়েছে।
২০১১ থেকে ২০১৯, বাম ও কংগ্রেসের অধোগতি
অন্যদিকে, ২০১১ সালের বিধানসভা থেকে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের মধ্যে বামফ্রন্টের ভোট ৯.৮৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সর্বশেষ দুটি লোকসভা নির্বাচনের অন্তর্বর্তী সময়ে তাদের ভোট আরও ১৬ শতাংশ কমেছে। আর ২০১১-র থেকে ২০১৬ সালের বিধানসভায় কংগ্রেসের ভোটের পরিমাণ ৮.৯৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৩ শতাংশ। ২০১৪ সালের লোকসভায় তা কমে যায় ৯.৬ শতাংশে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশ।
হারানো ভোট ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই জোট
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হারানো ভোট ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই জোটে সামিল হতে চলেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। সোমেন মিত্র ও সূর্যকান্ত মিশ্ররা একমত হন যে, আসন্ন রাজ্য নির্বাচনে জোট গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। যে সমস্ত ভোটাররা কংগ্রেস-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল ও বিজেপিতে পাড়ি জমিয়েছিল, তারা এখন ফিরে আসতে মাধ্যম খুঁজছে। সিপিএম-কংগ্রেসই এখন সেই নতুন মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
সিপিএম-কংগ্রেস জোট সক্রিয় হলে, বদলে যেতে পারে ২০২১ নির্বাচনের যাবতীয় হিসেব