বাংলায় ৫০০০ কোটির প্রকল্প, ৫০ হাজার কর্মসংস্থান! সাফল্য মমতার বিলেত সফরের
এবার রাজ্যে প্রথম ফাইবার প্রকল্প নিয়ে আসছে মিৎসুবিসি। এর ফলে এই শিল্পে জোয়ার আসবে রাজ্যে। বহু কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিলেত সফর রাজ্যের জন্য এক গুচ্ছ সুখবর বয়ে আনছে। তার মধ্যে নয়া সংযোজন অবশ্যই মিৎসুবিসি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে এবার রাজ্যে আসছে ব্রিটিশ এই কোম্পানি। স্কটল্যান্ডের শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীকে মিৎসুবিসি কথা দিয়েছে, তারা বাংলার জন্য বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
বুধবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, মিৎসুবিসি রাজ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। এবার রাজ্যে প্রথম ফাইবার প্রকল্প নিয়ে আসছে মিৎসুবিসি। এর ফলে এই শিল্পে জোয়ার আসবে রাজ্যে। বহু কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যে প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হতে চলেছে রাজ্যে, তা বাস্তবায়ন হলে কম করে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান হতে পারে। এদিন স্কটল্যান্ডের এডিনবোরায় শিল্প সম্মেলেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্প পরিবেশ সবিস্তারে বর্ণনা করেন। বিগত ছ-বছরে রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ কতটা পরিবর্তন হয়েছে, তা জানার পর মিৎসুবিসি আগ্রহ দেখায় বিনিয়োগের।
[আরও পড়ুন : বুদ্ধ-জ্যোতিবাবুরা যা পারেননি অবলীলায় তা করে দেখালেন মমতা, স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় বাংলা]
তবে মিৎসুবিসিকে নিয়ে রাজ্যের অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। এর আগেও হলদিয়ার মিৎসুবিসি কারখানা গড়ে তুলেছিল। কিন্তু তা কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। তবে রাজ্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর তেমন কোনও ঘটনা ঘটবে না বলেই বিশ্বাস রাজ্য সরকারের।
এর আগে এই বিলেত সফর থেকেই ইস্পাত টাইকুন লক্ষ্মীনিবাস মিত্তালের আশ্বাস লাভ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আসার পাশাপাশি রাজ্যে বিনিয়োগের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দেন। এর আগে ইনফোসিস, আরমেকার মতো কোম্পানিও রাজ্যে বিনিয়োগের ডালি সাজিয়ে ব্যবসা শুরু করতে আসছে। ফলে ভবিষ্যতে রাজ্যে শিল্পে জোয়ার আসতে চলেছে।
জানুয়ারিতে রাজ্যে বসছে শিল্প সম্মেলনের আসর। তার আগে বিশ্বের ধনকুবের শিল্পতিদের কাছ থেকে বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপ্লুত। এর আগে মুম্বইয়ে বিজনেস সামিটে গিয়ে শিল্পপতিদের কাছে বাংলায় আসার আবেদন রেখেছিলেন মমতা। এবার লন্ডনে গিয়েও তিনি তাঁর কাজে সিদ্ধ হলেন। যাঁদের আশ্বাস মিলেছে, তা বাস্তবায়িত হলে রাজ্যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।