শিশু পাচারকাণ্ড : বিজেপির মহিলা সাংসদকে নোটিশ পাঠাতে চলেছে সিআইডি!
জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে এবার বিজেপির মহিলা সাংসদকে নোটিশ পাঠানোর ভাবনা সিআইডি-র।
জলপাইগুড়ি, ৩ মার্চ : জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে এবার বিজেপির মহিলা সাংসদকে নোটিশ পাঠানোর ভাবনা সিআইডি-র। প্রথমে শিশুপাচারে অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তী ও পরে বিজেপি-র মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর মুখে ওই মহিলা সাংসদের নাম উঠে আসে। শিশুপাচারকাণ্ডে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ যোগ ছিল ওই মহিলা সাংসদের, মনে করছে সিআইডি। তাই তাঁকে নোটিশ পাঠাতে চলেছে সিআইডি।[শিশু পাচারকাণ্ডে সিআইডি নজরে এবার জুহির বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী!]
জুহি সিআইডি-জালে ধরা পড়ার পরই, তাঁর মুখে উঠে আসে মহিলা সাংসদের কথা। জুহি সিআইডির কাছে স্বীকার করে, দলের অত্যন্ত প্রভাবশালী মহিলা সাংসদের পরামর্শেই তিনি নেপাল পালানোর ছক কষেছিলেন। জুহি চৌধুরীর এই বিস্ফোরক দাবির পরই সিআইডি তদন্তকারীদের মনে অন্য ভাবনা ঘোরাফেরা করছে। জুহির আত্মগোপনে যে ওই প্রভাবশালী মহিলা সাংসদের ভূমিকা রয়েছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট সিআইডি-র কাছে।
জুহি সিআইডির কাছে জানিয়েছেন, তাঁকে বোঝানো হয়েছিল, নেপাল পালিয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষে আর গ্রেফতার করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে নেপাল অভিযান করতে গেলে বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। তাই নেপালে জুহির কাছে পৌঁছতে পারবে না সিআইডি। এই যুক্তিতে প্রভাবিত হয়েই তিনি নোপার ছেড়েছিলেন।
আগের দিনই ধৃত চন্দনা চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, তাঁর দত্তক ব্যবসা নিয়ে দিল্লিতে দরবার করেছিলেন জুহি। জুহিই রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে আলাদা কক্ষে বৈঠক করেন। চন্দনীদেবীর মুখে এই দুই নাম উঠে আসার পরই ফের জুহির মুখে মহিলা সাংসদের কথা। তাতেই সিআইডি নোটিশ পাঠিয়ে তলব করতে চাইছেন বিজেপি-র মহিলা সাংসদকে।