করোনা বিধির মধ্যে রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচন কীভাবে, কী জানালেন মুখ্যসচিব
করোনা বিধির মধ্যে রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচন কীভাবে, কী জানালেন মুখ্যসচিব
নতুন বছরের শুরুতেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার উপক্রম তৈরি হওয়ায় করোনা বিধি লাগু করেছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে রাজ্যে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে চার পুরনিগমের নির্বাচনও। কী হবে সেই পুর নির্বাচনের ভবিষ্যৎ, করোনা পরিস্থিতিতে কি পিছিয়ে দেওয়া হবে চার পুরসভার নির্বাচন, নবান্নের তরফে মুখ্যসচিব জানালেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।
পুরসভা ভোট নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত নেই
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় ৩ জানুয়ারি থেকে জারি করা হচ্ছে কড়া বিধি-নিষেধ। রাজ্যের মুখ্যসচিব রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী কী কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হচ্ছে। এবং কী করবেন কী করবেন না। তাঁর বিধি-নিষেধের ঘোষণায় স্পষ্ট, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে আংশিক লকডাউনের পথেই হাঁটল রাজ্য। কিন্তু পুরসভা ভোট নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত নেই।
প্রচার বা ভোট প্রক্রিয়ার কী হবে?
এই পরিস্থিতিতে কি চার পুর নিগমের ভোট হবে? তার উত্তরে রাজ্যের মুখ্যসচিব তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন। তিনি জানালেন, এই বিধি-নিষেধ লাগু থাকবে ১৫ জানুযারি পর্যন্ত। আর ভোট ২২ জানুয়ারি। অর্থাৎ ১৫ জানুযারির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভোট নিয়ে কী হবে। কিন্তু প্রচার বা ভোট প্রক্রিয়ার কী হবে, তা নিয়ে খোলসা করে কিছুই জানাননি।
ভোটের বিষয়টি দেখবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন
রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ভোটের বিষয়টি দেখবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে পারব না। ফলে চার পুরনিগম শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরসভার ভোট আপাতত স্থগিত হচ্ছে না। করোনার বাড়বাড়ন্তে যদি ভোটগ্রহণ করা সম্ভব না হয়, সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য নেই
চার পুর নিগমের পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য করেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব। গঙ্গাসাগরে ১৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মেলা। সেই মেলা চলবে, নাকি করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাতিল করা হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা দেননি মুখ্যসচিব। তা জেলার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে।
দুয়ারে সরকার পিছলেও গঙ্গাসাগরে নিষেধাজ্ঞা নেই
রাজ্যে বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবের আবহে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাধ্য হয়েছে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে। একপ্রকার আংশিক লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। শুধু মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন বা কন্টেনমেন্ট পয়েন্ট করেই ক্ষান্ত থাকেনি রাজ্য। স্কুল-কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পাশপাশি, বিমান-রেল বা পরিবহণ পরিষেবাতেও রাশ টেনেছে। জারি করেছে আরও বিধি-নিষেধ। দুয়ারে সরকার কর্মসূচি এক মাস পিছিয়ে দিলেও গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি রাজ্য।