মোর্চার লড়াই ক্ষীণ হচ্ছে! পাহাড়ে হিংসা ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার কার্শিয়াং পুরপ্রধান
পাহাড় থেকে শনিবার গ্রেফতার করা হয় কার্শিয়াংয়ের পুরপ্রধানকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বনধ চলাকালীন তাঁর নেতৃত্বে গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল।
পাহাড়ে মোর্চার লড়াই ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। একে একে পাহাড়ে হিংসা ছড়ানোর দায়ে বনধ সমর্থনকারীদের জালে পুরতে শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার সিকিমের নামচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোর্চার কেন্দ্রীয় নেত্রী সবিতা রাই-সহ ১৪ জনকে। এবার গ্রেফতার হলেন কার্শিয়াং পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা লিম্বু সুব্বা। গ্রেফতার হয়েছেন জিসি লেপচা নামে এক মোর্চা সমর্থক।
নবান্নে বৈঠকের পর বরফ গললেও পাহাড়ের বনধ ওঠেনি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে পাহাড়ে ফিরেই জনসভা ডেকে পাহাড় বনধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন মোর্চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং। কিন্তু মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং বেঁকে বসায় সেই বনধ উঠেও ওঠেনি। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে পাহাড়কে ঘিরে। মোর্চার বনধ সমর্থনকারীরা রাস্তায় নেমেছে। দলের নির্দেশ না মানায় বিনয় তামাংকে 'শাস্তি' দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হতেই ফের বিপত্তি।
বাংলা থেকে পালিয়ে সিকিমের নামচিতে বৈঠক ডেকেছিলেন বিমল গুরুং। গুরুংয়ের ডাকা সেই বৈঠকে হানা দেয় দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের পুলিশ-প্রশাসন। এই অভিযানে ছিলেন রাজ্য পুলিশের কর্তাব্যক্তিরাও সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ১৪ জন মোর্চা নেতাকে। গোপন এই বৈঠক থেকে কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। তাঁদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হয়।
এখানেই থেমে থাকেনি পুলিশ। পাহাড় থেকে শনিবার গ্রেফতার করা হয় কার্শিয়াংয়ের পুরপ্রধানকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বনধ চলাকালীন তাঁর নেতৃত্বে গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। পাহাড়ে হিংসা ছড়াতে তিনি মদত দিয়েছেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছেন। এই ঘটনায় আর এক মোর্চা সমর্থককেও গ্রেফতার করা হয়।