কয়লা পাচারের তদন্তে লালার একের পর এক ডায়েরি সিবিআই-এর হাতে! উঠে আসছে যাঁদের নাম
সাম্প্রতিককালে রাজ্যে গরু পাচার ও কয়লা পাচার তদন্তে গতি বাড়িয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর তরফে গরু পাচার কাণ্ডে সবুজ ডায়েরি পাওয়ার দাবি করে, তা আদালতে পেশও করে। এবার কয়লা পাচার তদন্তে সেরকম একের পর এক ডায়েরির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে।


কয়লা পাচারের তদন্তে ২৫ টি ডায়েরি উদ্ধার
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই এখনও পর্যন্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার অন্তত ২৫ টি ডায়েরির হদিশ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার আসানসোল, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এই ডায়েরিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, পালানোর আগে লালা নিজের কাঁচা হিসেবের খাতা কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে রেখে গিয়েছিল। সেই খবর পেতেই তল্লাশি চালিয়ে সেই ডায়েরিগুলি উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

খাতায় যাঁদের নাম রয়েছে
তদন্তে কোনও ডায়েরির কথা উঠে আসলেই, পরের প্রশ্ন আসে, সেখানে কাদের নাম রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ডায়েরিতে ইসিএল-এর কয়েকজন কর্তা এবং প্রশাসনিক আধিকারিক ছাড়াও কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, তাঁদের আত্মীয়দের নাম রয়েছে। সেখানে ২০১৫ সাল থেকে অনুপ মাঝি কোথায়, কবে, কাকে কত টাকা দিয়েছিলেন, তার উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি। সিবিআই-এর আরও দাবি, এইসব ডায়েরিতে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব পাওয়া গিয়েছে।

লালাকে ফেরার ঘোষণা
ইতিমধ্যেই বাড়ি ও অফিসে একের পর এক তল্লাশিতে অনুপ মাঝি ওরফে লালার কোনও খোঁজ না পাওয়ায়, তাকে ফেরার ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সব বিমানবন্দর, রেল স্টেশনে ছবি পাঠিয়ে সিবিআই-এর তরফে হুলিয়া জারি করা হয়েছে। পুরুলিয়ার পাশাপাশি রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বার্নপুর, সল্টলেকে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে সিবিআই-এর তরফে আদালতের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। বিজেপির তরফে শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষ, সবাই দাবি করেছেন এই লালার সঙ্গে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের যোগাযোগ রয়েছে।

এর আগে পাওয়া গিয়েছে এনামুল হকের ডায়েরি
গতমাসের শেষে সিবিআই-এর হাতে ধৃত এনামূল হককে আসানসোলে সিবিআই-এর আদালতে হাজির করানোর সময় সিবিআই-এর আইনজীবী একটি ডায়েরি পাওয়ার দাবি করেছিলেন। সেই ডায়েরিতে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকদের নাম রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। আসানসোলের বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেছিলেন, এনামূলের ডায়েরিতে বিএম লেখা রয়েছে।

সারদা তদন্তে লাল ডায়েরি
রাজ্যে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরেই পুলিশি তদন্তে লাল ডায়েরি আর পেন ড্রাইভের কথা জানা গিয়েছিল। সেই লাল ডায়েরিতেই নাকি সুদীপ্ত সেন, নেতাদের নেওয়া লেনদেনের হিসেব রাখতেন। যদিও পরবর্তী সময়ে বারাসত আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিলেন, সেরকম কোনও লাল ডায়েরির কথা তাঁর জানা নেই।
তৃণমূলের সঙ্গে ১০ বছরের 'কন্ট্রাক্ট’ বিজেপির! একুশের 'ভবিষ্যদ্বাণী’ পিরজাদা সিদ্দিকির