মুকুলের দলবদলের ফুটেজই প্রমাণ? অধ্যক্ষকে সিদ্ধান্ত ফের ভেবে দেখতে বলল হাইকোর্ট
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা'য় নয়া মোড়! কৃষ্ণনগর বিরুদ্ধে দায়ের দলত্যাগ বিরোধী মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষের নির্দেশ খারিজ। সিদ্ধান্ত ফের একবার পুনর্বিবেচনার জন্য অধ্যক্ষের কাছেই ফেরত পাঠালেন প্রধান বিচারপতি। একই
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা'য় নয়া মোড়! কৃষ্ণনগর বিরুদ্ধে দায়ের দলত্যাগ বিরোধী মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষের নির্দেশ খারিজ। সিদ্ধান্ত ফের একবার পুনর্বিবেচনার জন্য অধ্যক্ষের কাছেই ফেরত পাঠালেন প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ কলকাতা হাইকোর্টের।
ফলে ফের একবার চাপ বাড়ল মুকুল রায়ের উপর। শুধু তাই নয়, বিধায়ক পদ থাকা নিয়েও একটা সংশয় থেকে গেল।
বিধানসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। আর এরপরেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে কেন মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকি মামলাও হয়। আর তাতে গত কয়েকমাস আগে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, মুকুল রায় দলবদল করেননি।
এমনকি বিজেপিতে রয়েছেন বলেও জানান তিনি। দলবদলের যথেষ্ট প্রমাণ বিরোধীরা দিতে পারেননি বলে জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই বিরোধীদের আনা আবেদন স্পিকার খারিজ করে দেন।
আর এই বিষয়ে ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ সোমবার বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আর সেই মামলার শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, গত বছরের ১১ জুন যে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বলে যা বলা হচ্ছে সেটাকে প্রমাণ হিসাবে ধরতে হবে।
আর তা ধরে নিয়েই স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এজন্যে চার সপ্তাহের চূড়ান্ত সময়সীমা ডিভিশন বেঞ্চ বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে বিধানসভা অধ্যক্ষ নন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন বলে বারবার দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীরাও। এমনকি তৃণমূলে কখনই মুকুল রায় যোগ দেয়নি বলেও দাবি তাঁদের। এমনকি মুকুল রায় সব জায়গাতে নিজেকে বিজেপির বিধায়ক বলেই দাবি করেছেন। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এমনকি অনেকেই মুকুলের এহেন বক্তব্যের জন্যে শারীরিক অসুস্থাকেই দায়ী করেছেন। এমনকি শুভ্রাংশু রায়ও একাধিকবার জানিয়েছেন, তাঁর বাবা অসুস্থ। খুব শিঘ্রই চিকিৎসার জন্যে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু বিজেপি বারবার মুকুল রায়ের যোগদানের ছবি-ভিডিও সামনে এনে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে প্রায় প্রচার ছাড়াই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জেতেন মুকুল রায়। আর জেতার পরেই সবার আগেই দলবদল করেন মুকুল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশুও। এমনকি তাঁর এই দলবদলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ফুটেজ হাতিয়ার করেই কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপি যায়। আর সেই মামলায় চাপ বাড়ল মুকুল রায়ের উপর।