পুরভোটের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, রাখতে হবে ভোটারদের সই-হাতের ছাপ
কলকাতার পুরভোটের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পুর-মামলার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে প্
কলকাতার পুরভোটের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পুর-মামলার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়রি সংরক্ষণের তালিকায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ছাপ্পা ভোটার ধরতে যে রেজিস্ট্রিতে সই করে বা বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দান করেন ভোটার সেই নথিও সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
কলকাতার ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস, ছাপ্পা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। তদন্তের জন্য এইসব যাবতীয় নথি আগেই সংরক্ষন করার জন্য নির্দেশ দিতে বিরোধীরা আবেদন করেছিল হাইকোর্টে। সবপক্ষের বক্তব্য শুনে এদিন আদালত এহেন নির্দেশ দেয়।
একইসঙ্গে রাজ্যে আগামী নির্বাচন গুলিতে সব বুথে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ভোট গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার ব্যাপারে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ফের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলেছে হাইকোর্ট।
গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরনির্বাচন ছিল। ভোট শুরুর আগে থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব ছিল বিরোধীরা। বেলা বাড়তেই তা কার্যত ভয়াবহ আকার নেয়। প্রকাশ্যে ছাপ্পা, বুথ লুঠের মতো অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। এমনকি আতঙ্ক তৈরি করতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে।
আর এই ঘটনার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানায় বিরোধীরা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। আর এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধীরা বিচার চেয়ে মামলা করে আদালতে। এমনকি প্রার্থীরাও ভোট লুঠের অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
সম্প্রতি সেই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির এজলাসে। সবপক্ষের বক্তব্য শোনে আদালত। কার্যত সেখানে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাতে শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে পুর মামলার নির্দেশিকা আপলোড করা হয়েছে।
এই মামলার রায়কে স্বাগত জানিয়ছেন বিরোধীরা। তবে আগামী পুরনির্বাচনগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হবে না বলেই দাবি বিরোধীদের। এই বিষয়ে আইনি লড়াই জারি থাকবে বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি বিজেপির।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পুরসভাগুলিতে নির্বাচন। জানুয়ারি ২২ এবং ফেব্রুয়ারির ২৭-এ বাকি পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হবে। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর এরপরেই এই নির্দেশ আদালতের।