আমরা কারও চাকরি খেতে চাই না, বেআইনি নিয়োগ নিয়ে সোজাসাপ্টা জানালেন ব্রাত্য
আমরা কারও চাকরি খেতে চাই না, বেআইনি নিয়োগ নিয়ে সোজাসাপ্টা জানালেন ব্রাত্য
বেআইনি নিয়োগ একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি। নানা অনিয়ম হয়েছে। তারপরও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা কারও চাকরি খেতে চাই না। অতীতে গোলমাল করেও যদি কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন, আমরা তার চাকরি রক্ষা করতে চাই। বেআইনি নিয়োগ বিতর্কের মধ্যে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সম্প্রতি এসএসির নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় অবৈধভাবে চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন বিচারপতি। আদালত জানিয়েছে, যাঁরা অবৈধভাবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন তারা নিজে থেকে ইস্তফা দিন, নতুবা আপনাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন অযোগ্যরা চাকরি পাবেন, আর যোগ্যরা বঞ্চিত থাকবেন, তা মেনে নেওয়া হবে না।
তার আগেই ব্রাত্য বসু সোজা কথায় জানিয়ে দিয়েছেন, বৈধ-অবৈধ কারও চাকরিও তারা খেতে পারবেন না। যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের চাকরি রক্ষা করবেন তাঁরা। সেইসঙ্গে যাঁরা নিয়োগপত্র পাননি, আন্দোলন করছেন, তাঁদের উদ্দেশেও তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁদেরও চাকরির বন্দোবস্ত করা হবে শীঘ্রই।
যদিও মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ৫৬৩ দিনে এসেও নিয়োদ জট কাটেনি। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে কেউ রণেভঙ্গ দেননি। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, আশ্বাসে বিশ্বাস নেই। হাতে নিয়েগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ আন্দোলন ক্ষেত্র ছেড়ে যাব না। আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব না।
এএসসি ও এসএলএসটি-র চাকরিপ্রার্থীরা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্মতলায় বসে রয়েছের চাকরিচতে নিয়োগের দাবিতে। কিন্তু নিয়োগপত্র তাঁরা পাননি। পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটাতে না পারার আক্ষেপ বুকে নিয়ে তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের তরফে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন পুজো মিটলেই চাকরির। কিন্তু নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন ছাড়তে চাইছেন না।
অন্তত ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, তারপরই তাঁরা আন্দোলন ক্ষেত্র ছাড়বেন। নতুবা যা-ই ঘটে যাক তাঁরা আন্দোলন ছেড়ে পিছু হটবেন না। নিজেদের অবস্থান অনড় থেকেই বঞ্চনার প্রতিকার চাইছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারের তরফে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, এসএসসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেও বার্তা দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তবু পিছু হটছেন না আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনের শেষ দেখে ছাড়চে চাইছেন তাঁরা। চাকরি নিয়ে একেবরে স্কুলে যেতে চান আন্দোলনকারীরা। তারপর তাঁরা বাড়ি ফিরবেন, পণ করে বসে রয়েছেন সবাই।
শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অঙ্ক ছাড়াবে ১৫০ কোটি! আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির