মরণোত্তর দেহদানের শেষ ইচ্ছা অপূর্ণই রয়ে গেল রায়গঞ্জের কৃষ্ণাদেবীর
ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। তাই অঙ্গদান করা গেল না কৃষ্ণাদেবীর। শুধু চক্ষুদান করা গেল। শেষ ইচ্ছা মর্যাদা পেল না হাসপাতালে মরণোত্তর দেহদানের পরিকাঠামো অভাবে।
রায়গঞ্জ, ৪ নভেম্বর : ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। তাই অঙ্গদান করা গেল না কৃষ্ণাদেবীর। শুধু চক্ষুদান করা গেল। শেষ ইচ্ছা মর্যাদা পেল না হাসপাতালে মরণোত্তর দেহদানের পরিকাঠামো অভাবে।বৃহস্পতিবার রাতে রায়গঞ্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয় কৃষ্ণা মজুমদারের। বছর ৬৩-র এই মহিলার ইচ্ছা ছিল মরণোত্তর দেহদান করে নজির স্থাপন করার। ইচ্ছা ছিল, তিনি চলে গেলেও, তাঁর চোখ ও অঙ্গ যেন বেঁচে থাকে অন্যের শরীরে।
তাঁর চোখ দিয়ে অন্য কেউ সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখলেও মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেল কৃষ্ণাদেবীর। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের এই হাসপাতালে দেহদানের কোনও পরিকাঠামো নেই। আগে থেকেও তা ব্যবস্থা করা যায়নি। আগে থেকে চক্ষুদান করা থাকলেও, দেহদানের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয় পরে। তাই হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও এই ব্যাপারে আগাম কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সম্ভব হয়নি কৃষ্ণাদেবীর শেষ ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে।
বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর পর তাই শুধু চক্ষু সংরক্ষণ করেই ক্ষান্ত থাকতে হয়। কৃষ্ণাদেবীর ছেলে জানান, মা চেয়েছিলেন তাঁর অঙ্গ দিয়ে অন্য কেউ নবজীবন লাভ করুক। কিন্তু তা হয়ে উঠল না। আশা করি মায়ের চোখ দিয়ে অন্য কেউ আবার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে।
এদিনই কলকাতায় পথদুর্ঘটনার শিকার হয়ে ব্রেন ডেথ ঘোষিত স্বর্ণেন্দুর অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয় তিন জনের শরীরে। স্বর্ণেন্দুর বাবার এই মানবতার সিদ্ধান্ত কলকাতার আধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামোয় সাফল্য পেলেও, জেলার হাসপাতালে পরিকাঠামোহীনতায় অপূর্ণ রয়ে গেল কৃষ্ণাদেবীর শেষ ইচ্ছা।