বিজেপি সমর্থক হনুমান বেশধারীর আত্মহত্যা! এনআরসি যোগ, দাবি মহম্মদ সেলিমের
বিজেপি সমর্থক, প্রচারকের অপঘাতে মৃত্যু। গত লোকসভা নির্বাচনে রাণাঘাট সংসদীয় কেন্দ্রে নিবাস সরকারকে দেখা গিয়েছিল হনুমানের বেশে। সেই ব্যক্তিই বৃহস্পতিবার বিকেলে আত্মহত্যা করেছেন।
বিজেপি সমর্থক, প্রচারকের অপঘাতে মৃত্যু। গত লোকসভা নির্বাচনে রাণাঘাট সংসদীয় কেন্দ্রে নিবাস সরকারকে দেখা গিয়েছিল হনুমানের বেশে। সেই ব্যক্তিই বৃহস্পতিবার বিকেলে আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা নিবাস সরকারকে চিনতেন আরএসএস কর্মী এবং যাত্রা শিল্পী হিসেবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইটারে রাণাঘাট কেন্দ্রে নিয়ে একটি ছবি দেওয়ার পর থেকে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন নিবাস সরকার।
বাংলার 'হনুমানে'র আত্মহত্যা
বৃহস্পতিবার নিবাসের ভাইয়ের কাছ থেকে মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন বগুলার মণ্ডল সভাপতি তাপস ঘোষ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিবাস বাথরুমে গিয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। তারপর একটি ছোট গ্লাস নিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। ভাই প্রলবকে বলেন, তিনি নিজের জীবন নিয়ে বীতশ্রদ্ধ, তাই বিষ খেয়েছেন। কৃষ্ণনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান নিবাস। এর পিছনে পারিবারিক গোলযোগ আছে। তাঁর ছেলে উদয়পুরে চিকিৎসর, জানিয়েছেন তাপস ঘোষ।
রাণাঘাটের কাছে বগুলার বাসিন্দা হলেও, নিবাস সরকার পরিবার নিয়ে রাজস্থানের উদয়পুরে চলে গিয়েছিলেন। এদিকে এই আত্মহত্যার ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ায় এনআরসি ইস্যুর জন্যই আত্মহত্যা করেছেন নিবাস। কিন্তু ভাই প্রলব সরকার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষের দাবি
অন্যদিকে রাণাঘাট থেকে নির্বাচিত বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার, নিবাস সরকারের মৃত্যুতে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিবাস সরকারকে কট্টর বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করেছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে আরও বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিবাস সরকারকে চিনতেন। নির্বাচনে হনুমানের বেশে তাঁর হয়ে প্রচারের কথাও উল্লেখ করেছেন জগন্নাথ সরকার। কিন্তু এই মৃত্যু এনআরসি-র জন্য নয়, দাবি করেছেন জগন্নাথ সরকার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও নিবাসের মৃত্যুর পিছনে এনআরসি নেই বলে দাবি করেছেন।
|
সিপিএমের দাবি
সিপিএম নেতা মহম্মজ সেলিম নিবাস সরকারের ছবি টুইট করে দাবি করেছেন, এনআরসি নিয়ে ভয়ের জেরে আত্মহত্যা করেছেন নিবাস সরকার।