দিলীপের মুখে মুকুল স্তুতি, সম্ভবত কালীপুজোর পর সিদ্ধান্ত ঘোষণা
এবার দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গেল মুকুল রায়কে নিয়ে স্তুতি। একেবারে সরাসরি। রবিবার তিনি বলেন, নারদ কাণ্ডে একমাত্র মুকুল রায়কেই টাকা নিতে দেখা যায়নি। একইসঙ্গে তিনি শুভেন্দু অধিকারীরও প্রশংসা করেন।
এবার দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গেল মুকুল রায়কে নিয়ে স্তুতি। একেবারে সরাসরি। রবিবার তিনি বলেন, নারদ কাণ্ডে একমাত্র মুকুল রায়কেই টাকা নিতে দেখা যায়নি। একইসঙ্গে তিনি শুভেন্দু অধিকারীরও প্রশংসা করেন।
সিবিআই-এর ক্লিনচিট পাওয়ার আগেই কার্যত বিজেপির থেকে ক্লিনচিট পেলেন মুকুল রায়। রবিবার বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, নারদ কাণ্ডে একমাত্র মুকুল রায়কেই টাকা নিতে দেখা যায়নি। টিভির পর্দায় অন্য নেতাদের টাকা গুণতে দেখা গেলেও, মুকুল রায়ের হাতে টাকার বাণ্ডিল দেখা যায়নি। তাই মুকুল রায়েকে এখনই কাঠগড়ায় তোলা ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, সিবিআই ডাকলেই কিছু প্রমাণ হয় না। সিবিআই তাঁকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। যদিও নারদ কাণ্ড সামনে আসার পর সিদ্ধার্থনাথ সিং-এর মতো বিজেপি নেতা কলকাতায় এসে বলেছিলেন 'ভাগ মুকুল ভাগ'। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, মুকুল রায়কে পাওয়ার আশায় নিজেদের অতীত অবস্থান থেকে সরে আসতে শুরু করেছে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ একইসঙ্গে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, গঙ্গার ওপাড়ে শুভেন্দুর থেকে তৃণমূলের বড় নেতা আর কে আছে? শুভেন্দু না থাকলে নন্দীগ্রামের আন্দোলন দানা বাধত না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। দিন কয়েক আগে মুকুল রায়ও শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেছিলেন। এবার দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করে তৃণমূলের ঘরের কোন্দল উস্কে দিতে চাইলেন বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রবিবার বিকেলে দিল্লিতে মুকুল রায় দেখা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে। তাঁদের মধ্য মিনিট দশেক কথাও হয়। জেটলির সঙ্গে এদফায় আলোচনা রাজনৈতিক মহলে নতুন করে কৌতুহল তৈরি করেছে।
সম্ভবত চলতি সপ্তাহেই সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন মুকুল রায়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতেই পদত্যাগপত্র তুলে দিতে চান মুকুল রায়। সেইজন্য তাঁর কাছে সময় চেয়েছেন। সূত্রের খবর, রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। তবে কালীপুজোর পর আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সাংবাদিক সম্মেলনেই তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথ নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।