সংখ্যলঘুদের সিএএ ভীতি কাটাতে চায় বিজেপি! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই প্রচার শুরু
সংখ্যালঘু মনজয়ে প্রথম সিএএ ভীতি কাটানোয় জোর দিতে চাইছে তারা। সে জন্য সংখ্যালঘু মহলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিয়ে জনসংযোগে যাওয়ার কথা ভাবছে তারা।
নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে বিজেপি শাঁখের করাতে পড়েছে। একদিকে মতুয়ারা চাইছেন সিএএ লাগু হোক অবিলম্বে, অন্যদিকে প্রবল বিরোধী সংখ্যালঘু মুসলিমরা। আর বিজেপি চাইছে মতুয়া ও উদ্বাস্তু মহলের সব ভোট পেতে, আবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটেও থাবা বসাতে।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সংখ্যালঘু মন জিততে বিজেপি নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে য়াওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন ভোটের আশা না করেই য়ান সংখ্যালঘুদের দুয়ারে। এটা অভ্যাসে পরিণত করুন, সুফল মিলবেই।
সংখ্যালঘু ভোটের লক্ষ্যে বিজেপি পরিকল্পনা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে সিএএ নিয়ে মুসলিমদের ভ্রান্ত ধারণা দূর করার প্রয়াস নিতে চলেছে বিজেপি। আসলে সংখ্যালঘু ভোটে যে বাংলায় বড় ফ্যাক্টর তা বুঝেছে গেরুয়া শিবিরও। তাই সংখ্যালঘু ভোটের লক্ষ্যে বিজেপি পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনের পরিসংখ্যান
একুশের নির্বাচনে সিংহভাগ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সেই ছবিটা বদলাতে চাইছে বিজেপি। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলায় ১৪৬টি মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৩১টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। আর বিজেপি জিতেছিল ১৪টি আসনে। একটি জিতেছিল আইএসএফ।
সিএএ ভীতি কাটানোয় জোর বিজেপির
২০২৪-এর আগে বাংলায় রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচন থেকেই খেলা ঘোরাতে চাইছে বিজেপি। সংখ্যালঘু মনজয়ে প্রথম সিএএ ভীতি কাটানোয় জোর দিতে চাইছে তারা। সে জন্য সংখ্যালঘু মহলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিয়ে জনসংযোগে যাওয়ার কথা ভাবছে তারা। আর বোঝাতে চাইছে সিএএ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই।
তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটেও থাবা বসাতে
সংখ্যালঘু মন থেকে সিএএ ভীতি ঝেড়ে ফেলতে পারলে যে বিজেপি এক ঢিলে দু-পাখি মারতে পারবে, তা নিশ্চিত। প্রথমত সিএএ লাগু করে মতুয়া ও উদ্বাস্তু ভোট নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারবে। তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটেও থাবা বসাতে পারবে। বিজেপি তাই প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছে, তারা সংখ্যালঘু বিরোধী নয়।
সংখ্যালঘু এলাকায় জনসংযোগ শুরুর অপেক্ষা
বিজেপির কথায়, তৃণমূল সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড থাকলে কেউ দেশ থেকে বার করতে পারবে না বলে বিভিন্ন সভামঞ্চ থেকে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। এবার তারা কবে থেকে এই মর্মে জনসংযোগ শুরু করেন এবং তার কী প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
রাজ্যের প্রান্তিক গ্রামগুলিকে টার্গেট বিজেপির
সম্প্রতি জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ২০২৪-এর লক্ষ্যে আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সীমান্ত এলাকার গ্রাম বা রাজ্যের প্রান্তিক গ্রামগুলিকে টার্গেট করেছে তারা। রাজ্যের ১০টি সীমান্ত এলাকার গ্রামকে বেছে নিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপির টার্গেট মতুয়া ও উদ্বাস্তু ভোট। সেই ভোটের লক্ষ্যেই বিজেপি সীমান্ত গ্রামগুলিকে বেছে নিয়ে জনসংযোগ করতে চাইছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে সব থেকে লাভবান 'ভাইপো'! 'রায়'বাবুর নাম করে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী