তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ক্যাডার-বাহিনী বিজেপির! প্ল্যান-বি প্রয়োগের নির্দেশ শাহের
২০১৮-র পঞ্চায়েত এখন অতীত। এবার লক্ষ্য ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি।
২০১৮-র পঞ্চায়েত এখন অতীত। এবার লক্ষ্য ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। সেই কারণে বুথ ভিত্তিক সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি, প্রতি বুথে ক্যাডার বাহিনী প্রস্তুত রাখার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। শুধু বার্তাই নয়, প্রতি রাজ্যের জন্য যে ২২ কৌশল তৈরি করেছেন তিনি, তাতেও ক্যাডার তৈরির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুধু সংগঠন করলেই হবে না। বিরোধীদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য বুথভিত্তিক ক্যাডারবাহিনী তৈরি করতে হবে। শুধু বাংলাই নয়, প্রতিটি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। বুথ দখল আটকাতেই এই বাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি স্থির করেছে, এক একটি বুথকে রক্ষা করতে পাঁচজন করে সদস্য থাকবে বাইক বাহিনীতে। আগামী নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি ম্যান-পাওয়ারকেও কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। তাই একাধারে প্রযুক্তির ব্যবহারে হাইটেক প্রচারের পাশাপাশি নির্বাচনের সময় ম্যান পাওয়ারকে কাজে লাগাতেই এই বাইক বাহিনীর তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন:২২ কৌশলে লোকসভায় মাত দিতে ছক তৈরি অমিত শাহের, প্রতি রাজ্যকে কড়া নির্দেশ ]
বিজেপির যুক্তি, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল দাপট দেখিয়েছে ম্যান পাওয়ারে। তাদের শক্তির কাছে এঁটে উঠতে পারেনি বিজেপি। বিজেপি তাই এবার তৃণমূলের বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ক্যাডার তৈরি করছে। সিপিএমের স্টাইলেই এই ক্যাডার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, মোদী-শাহ ব্রিগেড এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে গভীর চিন্তায় রয়েছে। বিরোধীরা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে প্ল্যান বি প্রয়োগ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তাই নতুন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে অমিত শাহ তা শীঘ্রই প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেম।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে এসে এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ওড়িশা সফরেও তিনি তাঁর পরিকল্পনা শেয়ার করবেন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। সেইসঙ্গে মোদী এবার প্রত্যেক রাজ্যেই নিজের একজন লোক পাঠাতে চাইছেন। তাঁর কথা শুনে কীভাবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে, তাও জানিয়েছেন অমিত শাহ। সেজন্য তিন মাসের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে প্রতি রাজ্য নেতৃত্বকে।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে হঠাৎ কেন কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়করা, তবে কি শেষের দিন শুরু ]