বিজেপির বিধায়করা ভিড়ছেন না দলের কর্মসূচিতে! দলবদলের জল্পনা এবার উত্তরেও
বিজেপির কোন্দল অব্যাহত জেলায় জেলায়। তার প্রভাব পড়েছে বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে। অনেক বিধায়ককেই দেখা যাচ্ছে না বিজেপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে। যার ফলে জল্পনার পারদ চড়ছে।
বিজেপির কোন্দল অব্যাহত জেলায় জেলায়। তার প্রভাব পড়েছে বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে। অনেক বিধায়ককেই দেখা যাচ্ছে না বিজেপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে। যার ফলে জল্পনার পারদ চড়ছে। উত্তর ২৪ পরগনার পর উত্তর দিনাজপুরেও দুই বিধায়কের গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁদের দলবদলের সম্ভাবনা নিয়েও।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক ফেসবুক পোস্ট করে বিজেপি নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেছেন। এর ফলে জেলায় বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে জেলা সভাপতির মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্বের মধ্যে মতপার্থক্য আর শুধু বিরোধের পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নেই, তা গোষ্ঠীকোন্দলে রূপান্তরিত হয়েছে। এই বিষয়কেই হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিজেপির সমালোচনায় মুখর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই নানা ঘটনা পরম্পরায় কমলাবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়। তৃণমূল ওই পঞ্চায়েত দখল করতেই রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ফেসবুকে জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তিনি ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি লেখেন কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া প্রসঙ্গে।
তাঁর
ফেসবুক
বার্তায়
প্রকাশ,
সাধারণ
মানুষের
কথা
না
ভেবে
সাংগঠনিক
প্রধান
যদি
নিজের
বৃত্তের
দু-চারজন
অকর্মন্য
লোককে
নিয়ে
পার্টিকে
নিজের
সম্পত্তি
মনে
করে
পদ
আঁকড়ে
থাকে,
তাহলে
যা
হওয়ার
সেটাই
হচ্ছে।
দলীয়
বিধায়কের
মুখে
এই
কথা
শুনে
জেলা
সভাপতি
বাসুদেব
সরকার
প্রকাশ্যেই
তাঁর
সমালোচনা
করেন।
উল্লেখ্য,
সোমবার
রায়গঞ্জেই
উপস্থিত
ছিলেন
বিধায়ক
কৃষ্ণ
কল্যাণী।
তা
সত্ত্বেও
তিনি
দলের
কর্মসূচিতে
অংশগ্রহণ
করেননি।
তা
নিয়ে
উভয়পক্ষের
মধ্যে
চাপানউতোর
তৈরি
হয়।
যদিও
উভয়ের
মধ্যে
মতপার্থক্য
বা
কোন্দল
নিয়ে
কেউই
কোনও
মুখ
খোলেননি।
জেলা
সভাপতি
বাসুদেব
সরকার
ও
বিধায়ক
কৃষ্ণ
কল্যাণী
উভয়েই
বলেন
সমস্যা
মিটিয়ে
নেওয়ার
কথা।
বিধায়ক ও জেলা সভাপতি বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে বসে সমস্ত মিটিয়ে নেব। শাসকদল অবশ্য তা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এটা বিজেপির দলীয় ব্যাপার। কেন বিধায়করা তাঁদের কর্মসূচিতে আসেন না, সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে বলব, রায়গঞ্জের জনগণের ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। যার জবাব ২০২৪-এ লোকসভা ভোটে জনগণই দেবে ওদের।