টার্গেট ২০২১-এ বাংলার ক্ষমতা দখল! আলাদা দল গঠন করে অমিত শাহের ৫ 'স্পেশাল' নেতাকে দায়িত্ব
টার্গেট ২০২১-এ বাংলার ক্ষমতা দখল! আলাদা দল গঠন করে ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব
সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় জিততেই হবে বিজেপি (bjp)। অনেকটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) ২০০১ সালের স্লোগানের মতো এবার, নইলে নেভার। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পুজোর পরেই তৎপরতা বাড়িয়েছে বিজেপি। এদিন হেস্টিংসে তাদের সাংগঠনিক বৈঠকে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাঁচ জোনের দায়িত্বে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা
বিজেপির তরফে পাঁচটি জোনের দায়িত্ব পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর জোনের মধ্যে রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলা। এই জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের কাণ্ডারী সুনীল দেওধরকে। রাঢ় বঙ্গ জোনে রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম। এই জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের নেতা তথা বিজেপির এসসি মোর্চার নেতা বিনোদ সোনকরকে। উত্তরবঙ্গ জোনে রয়েছে উত্তরবঙ্গের আচ জেলা। এই জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের নেতা হরিশ দ্বিবেদীকে। কলকাতার জোনের মধ্যে রয়েছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ। এই জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার নেতা দুষ্মন্ত গৌতমকে। পঞ্চম তথা নবদ্বীপ জোনে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ। এই জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ তাউড়েকে।
কীভাবে হবে কাজ
এঁরা মূলত বিজেপির সংগঠন কী অবস্থায় রয়েছে তাঁর পর্যালোচনা করবেন। জেলায় জেলায় বুথস্ত পর্যন্ত পৌঁছে যাবেন বিস্তারকরা। জেলায় জেলায় বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন ১৮, ১৯ ও ২০ নভেম্বর। একেবারে মুখোমুখি বৈঠক। এরপর তাঁরা রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
জোন ভাগ আগেও ছিল, বললেন মুকুল রায়
এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়কে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগেও এই জোন ভাগ ছিল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন, এমন কি ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও তা ছিল বলে জানিয়েছেন মুকুল রায়।
বৈঠক নিয়ে দিলীপ ঘোষ
এদিনের বৈঠক নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, নয় নভেম্বর দিল্লিতে হওয়া বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা প্রয়োগ করতেই এদিনের বৈঠক। তিনি আরও বলেছেন ডিসেম্বর পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে, মূলত রণকৌশল ঠিক করতেই বসেছিল এদিনের বৈঠক। ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি প্রচারের অভিমুখ নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। এদিনে বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন অমিত বালব্। থেকে শুরু করে সুনীল দেওধররাও।
আগামী ৫ বছর কোন পথে চলবে দেশ? সীতারমনের হাতে তুলে দেওয়া হল অর্থ কমিশনের 'প্রেক্রিপশন'