বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব কেন, তাল কেটেছে আদি-নব্যে নাকি তৃণমূল-ফ্যাক্টর
ধারা বজায় রেখে সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ে মোর্চার জন্য তিনটি আসন বাদ রেখে ২৯১টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে মমতার দল।
ধারা বজায় রেখে সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ে মোর্চার জন্য তিনটি আসন বাদ রেখে ২৯১টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে মমতার দল। আর তার পরপরই প্রথম দুই দফার জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে সংযুক্ত মোর্চা ওরফে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। কিন্তু বিজেপি তাঁদের প্রার্থী ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছে।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব কেন
স্বভাবতই বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ রদে প্রশ্ন উঠেছে, কেন তারা হঠাৎ করে পিছিয়ে দিল। তবে কি অন্দরে কোনও কোন্দল রয়েছে। নাকি তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করার অপেক্ষায় ছিল তাঁরা। তৃণমূল প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিদ্রোহ দেখা দিলে তার সুবিধা নিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যে অনেকেই কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিদ্রোহ করে দলও ছেড়েছেন।
আলোচনা কি তবে শেষপর্যন্ত ফলপ্রসূ হল না!
শুক্রবারই বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করবে এমন সিদ্ধান্ত ছিল। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত দিল্লিতে বৈজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে সেই বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির সমস্ত শীর্ষ নেতারা ছিলেন। প্রথম দুই দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের জন্যই এই আলোচনা কি তবে শেষপর্যন্ত ফলপ্রসূ হল না!
মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দুদিন পর প্রার্থী
বিজেপি এখন স্থির করেছে ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রার্থী ঘোষণার দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হল কেন তা-ই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কেন তাঁদের দেরি হচ্ছে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিজেপি সম্ভবত ৯ মার্চ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। এমনটাই বঙ্গ বিজেপি সূত্র খবর মিলেছে।
বহু কেন্দ্রেই বিজেপির একাধিক মনোনয়ন
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, বিজেপির আদি-নব্য কোন্দলের জেরেই বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পিছিয়ে দিয়েছে। এখনও তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপনীত হতে পারেনি। বহু কেন্দ্রেই বিজেপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পেতে চাইছে। বিশেষ করে নব্য বিজেপি আর আদি বিজেপি কেউ কাউকে ছাড়ার পাত্র নয়।
২০১৯-এর ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল বিজেপিতে
আবার একাংশের ধারণা, বিজেপি দেখে নিতে চাইছে তৃণমূলে কতটা অসন্তোষ দানা বাঁধে। সেই অসন্তোষ কাজে লাগানো যায় কি না আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। তৃণমূলের বিদ্রোহ নিয়ে যদি ফাটল তৈরি করা যায়, তবে ২০২১-এর আগে তা হবে মস্তবড় ধাক্কা। এমনও হতে পারে বিদ্রোহীদের মধ্যে থেকে এমন কাউকে পাওয়া গেল, যিনি হতে পারেন বিজেপির সিওর সাকসেস। যেমনটা হয়েছিল ২০১৯-এর ক্ষেত্রে।