কোন সমীকরণে লোকসভায় প্রার্থী বাছাই বিজেপির! বঙ্গে সমীক্ষকদের নামিয়েছেন শাহ
বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে টার্গেট জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেইমতো লোকসভায় বাংলা থেকে ৪২-এ ২২-এর টার্গেট রেখেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই উচ্চাশা কতটা বাস্তব তা খতিয়ে দেখছেন সমীক্ষকরা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে টার্গেট জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেইমতো লোকসভায় বাংলা থেকে ৪২-এ ২২-এর টার্গেট রেখেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই উচ্চাশা কতটা বাস্তব তা খতিয়ে দেখতেই তৈরি হয়েছিল সমীক্ষক দল। সেই সমীক্ষক দল এক বছরের বেশি সময় বুথে বুথে ঘুরে যে চিত্র তুলে এনেছে, তা দেখে চূড়ান্ত হতাশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
প্রার্থী বাছাইয়ে সমীক্ষক
সেই কারণেই সামনের কয়েক মাসে বাংলা থেকে প্রাপ্তির ভাণ্ডার ভরাতে কোমর বাঁধছে বিজেপি। আসন্ন লোকসভা ভোটে কোন কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করলে লড়াই দিতে পারবেন, তা খুঁজতেও সমীক্ষকদের সিদ্ধান্তকেই সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর বঙ্গের নেতৃত্বের উপর শুধু ছেড়ে দিচ্ছে না বিজেপি।
ক্ষোভ বাক্সবন্দির পরিকল্পনা
রাজ্যের সংগঠনের প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে দেখতেই নিজের লোককে গোপনে নিয়োগ করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সমীক্ষকরা যে রিপোর্ট তুলে এনেছে, তাতে বিজেপি একটা ভেবে আশ্বস্ত হচ্ছে যে তৃণমূলের উপর মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই ক্ষোভকে তাঁদের অনুকূলে ভোটবাক্স বন্দি করা সম্ভব হবে কি, সেটাই লক্ষ টাকার প্রশ্ন।
বিজেপির সংগঠন-ভয়
বিজেপির ভয়, তৃণমূল-বিরোধী ক্ষোভকে তাঁদের দিকে নিয়ে আসার মতো সংগঠন তৈরি হয়নি সর্বস্তরে। ফলে মানুষের ভোটকে তাঁদের বাক্স পর্যন্ত টেনে নেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ থাকছেই। দলের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ মনে করছে, সবসময় সংগঠন দেখে ভোটবাক্স ভরে না। অনেক সময় ভোটবাক্স ভরে যায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটেই। আর এবার সেটাই হবে।
সমীকরণ মেনে প্রার্থী
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্থির করেছে, রাজ্য বিজেপি ৪২টি কেন্দ্র থেকে দুজনের নাম পাঠাবে। আর কেন্দ্রের ওই সমীক্ষক দল জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনজনের নাম পাঠাবে। তার মধ্যে থেকেই চূড়ান্ত নাম বেছে নেওয়া হবে। তাঁরাই স্থান পাবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায়।
সমীক্ষা কি অনাস্থা প্রদর্শন, প্রশ্ন
এই সমীক্ষক দল পাঠানো এবং সমীক্ষক দলের উপর নির্ভর করা কার্যত রাজ্য নেতৃত্বের উপর অনাস্থা প্রদর্শন বলেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও একাংশ এটাকে অনাস্থা প্রদর্শ বলতে রাজি নন। এটা অমিত শাহের গেমপ্ল্যান। তিনি নিজের সৈনিকদের পাঠিয়ে পুরো রাজ্যের চিত্রটা নিজের হাতের মুঠোয় রাখেন। তারপর সেইমতো অস্ত্র প্রয়োগ করেন ভোট ময়দানে।