বিজেপিতে ফের ভাঙন জঙ্গলমহলে! একুশের আগে কর্মীদের দলে দলে যোগদান তৃণমূল কংগ্রেসে
২০১৯-এর নির্বাচনে গেরুয়া শিবির পর্যাপ্ত প্রাধান্য নিয়েই জিতেছিল জঙ্গলমহলে। কার্যত জঙ্গলমহল হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। কিন্তু সেই জঙ্গলমহলেই ফের উলটপুরান দেখা দিচ্ছে।
২০১৯-এর নির্বাচনে গেরুয়া শিবির পর্যাপ্ত প্রাধান্য নিয়েই জিতেছিল জঙ্গলমহলে। কার্যত জঙ্গলমহল হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু সেই জঙ্গলমহলেই ফের উলটপুরান দেখা দিচ্ছে। জঙ্গলমহলের পুরুলিয়ায় ফের বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল। বলা যায় ২০২১-এর আগে দলবদল করিয়ে তৃণমূল নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে সমর্থ হল।
জঙ্গলমহলে দলবদল, ধাক্কা বিজেপিতে
রাজ্য বিজেপির কাছে জঙ্গলমহলের এই দলবদল একটা ধাক্কা। বারবার জঙ্গলমহলেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙ ধরছে। কখনও ঝাড়গ্রাম, কখনও পুরুলিয়া, কখনও পশ্চিম মেদিনীপুর, আবারক বাঁকুড়াও। এবার পুরুলিয়ার গেরুয়া দুর্গে ফাটল ধরল। হাত শক্ত হল তৃণমূল শিবিরের।
পুরুলিয়ায় কাশীপুরে বিজেপিতে ভাঙন
সম্প্রতি পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকে বিজেপিতে ভাঙন ধরে। প্রায় ত্রিশটি পরিবার বি্জেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। কালীদহ এলাকায় ১০টি এবং গুহাগাড়া এলাকায় ২০টি পরিবার তৃণমূল শিবিরে যোগদান করে। বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন।
বিজেপি গুরুত্ব দিতে নারাজ
বিজেপি এই দলবদলের ঘটনাকে আমল দিতে নারাজ। জেলা যুব মোর্চার সভাপতি রাজেশ মিশ্র জানিয়েছেন বিজেপির শক্তি অটুট আছে এই জেলায়। কোনও ক্ষতি হয়নি। ২০২১ নির্বাচনেই বোঝা যাবে কাদের দলের কী অবস্থা। বিজেপি থেকে তৃণমূলে এই দলবদল পুরুলিয়ায় কোনও প্রভাব ফেলবে না।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শালবনীতে
শালবনী ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ, আইএনটিটিইউসির সভাপতি নির্মল ঘোষের হাত ধরে চার শতাধিক কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। এই যোগদানকারীদের অধিকাংশই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের ঘরওয়াপসি হল।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে দিলীপের গড়েও
বিজেপি
রাজ্য
সভাপতি
দিলীপ
ঘোষের
খাসতালুক
ঝাড়গ্রামের
গোপীবল্লভপুর
২
ও
কুলিয়ানের
৫০০
বিজেপি
কর্মী
তৃণমূলে
যোগদান
করেন।
জেলা
সভানেত্রী
বীরবাহা
সোরেনের
হাত
থেকে
তাঁরা
তৃণমূলের
পতাকা
হাতে
তুলে
নেন।
এই
দলে
পঞ্চাযেত
সমিতির
সদস্য
থেকে
শুরু
করে
জেলা
কমিটির
সদস্য,
ওয়ার্ড
কমিটির
সদস্যরা
রয়েছেন।