‘গুরুং অস্ত গিয়েছে পাহাড়ে!’ ‘স্বঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী’কে অপ্রাসঙ্গিক করতে নয়া চাল তামাংয়ের
৩০ অক্টোবর প্রকাশ্য আসার বার্তা দিয়েছেন বিমল গুরুং। প্রশাসন তাই সদা সতর্ক গুরুংয়ের মোকাবিলায়। তৈরি হচ্ছেন বিনয় তামাং ও অনীত থাপা-রাও।
পাহাড়ে এখন খর্ব হয়েছে বিমল গুরুংয়ের শাসন। তাঁর ডানহাত বিনয় তামাংয়ের হাতেই উঠেছে পাহাড়ের ক্ষমতা। আর স্বঘোষিত 'পাহাড়ের মুখ্যমন্ত্রী' এখন নিজেই গড় ছাড়া। সেই গড় পুনর্দখল করতে তিনি ৩০ অক্টোবর পাহাড়ে ফিরছেন বলে অডিও বার্তায় হুঙ্কার ছেড়েছেন। তারই পাল্টা দিলেন বিনয় তামাংয়ের সহযোগী অনীত থাপা। তাঁর প্রচ্ছন্ন হুঙ্কার, 'আর পাহাড়ে গুরুংয়ের সূর্যোদয় হবে না, হবে সূর্যাস্ত। পাহাড় থেকে মুছে যাবে গুরুংয়ের নাম।'
৩০ অক্টোবর প্রকাশ্য আসার বার্তা দিয়েছেন বিমল গুরুং। প্রশাসন তাই সদা সতর্ক গুরুংয়ের মোকাবিলায়। তৈরি হচ্ছেন বিনয় তামাংও। বিনয় তামাং ও অনীত থাপা-রা তাই আগের দিনই কার্শিয়াংয়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। পাহাড়ের সমর্থন আদায় করে বিমল গুরুংকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়াই বিনয় তামাং শিবিরের মূল লক্ষ্য।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিমল গুরুং ফিরলে এক লহমায় পাহাড়ে ফের ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে পারে। বিনয় তামাংয়ের শিবির ছেড়ে অচিরেই বিমল শিবিরে যোগ দিতে পারেন মোর্চা নেতা-কর্মীরা। সেই সমীকরণ মাথায় রেখেই এখন নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে চাইছেন পাহাড়বাসীর কাছে। এখন থেকেই তাই ছোট ছোট সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরপর কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে সভা করা হবে।
এদিন বিনয় সহযোগী অনীত থাপা বলেন, 'বিমল গুরুং আর পাহাড়ে ফিরবেন না, তিনি পাহাড়ে এখন একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। তাই যতই তিনি অডিও বার্তায় পাহাড়ে ফেরার বার্তা দিন না কেন, তা পাহাড়ের মানুষ আর বিশ্বাস করবেন না। তাঁদের এই সভা গুরুংয়ের মোকাবিলায় নয়, পাহাড়ে মানুষকে জিটিএ-র কাজ সম্বন্ধে অবগত করতেই এই সভা।'
এদিন পাহাড়ের মানুষের কাছে অনীতের বার্তা, 'আপনারা উন্নয়নের সঙ্গে থাকুন। বিমল গুরুংয়ের হুঙ্কারই সার হবে। তিনি আর পাহাড়ে সূর্যোদয় ঘটাতে পারবেন না। পাহাড়ে গুরুংয়ের সূর্যাস্ত হয়ে গিয়েছে। এবার পাহাড়ে উন্নয়নের সূর্যোদয় হবে।' পাহাড়ের মানুষ সেই উন্নয়নকেই বরণ করে নেবেন বলে বিশ্বাস তাঁর।