সব পথ বন্ধ হয়ে যাছে, রাজনাথ সিংয়ের দ্বারস্থ হয়েও নোটিশ-পরোয়ানার ফাঁদে ‘বন্দি’ গুরুং-রা
ক্রমশই একা হয়ে যাচ্ছেন গুরুং। তাঁর পায়ের তলার জমি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এখন পালিয়ে পালিয়ে বেড়ানো ছাড়া তাঁর উপায় নেই।
কথায় আছে- খারাপ সময়ে ছায়াও সঙ্গ ছেড়ে দেয়। তেমনই অবস্থা হয়েছে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের। নোটিশ ও পরোয়ানার হাত থেকে রক্ষা পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশাও কার্যত নিঃশেষ হয়ে গেল। সঙ্গী বিজেপিও এখন সমর্থনের হাত তুলে নিল গুরুংয়ের পিঠ থেকে। দিল্লিতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে লুক আউট নোটিশ আর পরোয়ানার ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেন না তিনি।
ক্রমশই একা হয়ে যাচ্ছেন গুরুং। তাঁর পায়ের তলার জমি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এখন পালিয়ে পালিয়ে বেড়ানো ছাড়া তাঁর উপায় নেই। প্রকাশ্যে যাতে বের হতে পারেন, ফের পাহাড় আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, তার জন্য পাহাড়ের সাংসদকে ধরে তড়িঘড়ি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের হস্তক্ষেপে লুক আউট নোটিশ ও গ্রেফতারির পরোয়ানা প্রত্যাহার করানোই ছিল এই বৈঠকের উদ্দেশ্য। গুরুং চেয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে রাজনাথ সিং বিষয়টাকে লঘুব করে দিন। কিন্তু রোশন গিরিদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজনাথ সিং তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।
রোশন গিরির, স্বরাদ থাপা, সরিতা রাই, রোহিত শর্মা-রা বৈঠক করলেও সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি। ফলে বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের রাজ্য পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই আপাতত ঘুরতে হবে। গুরুং বেশ বুঝতে পেরেই গিয়েছেন, তাঁর ক্ষেত্র্ ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। তিনি যো কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন। কিন্তু রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকের পরও তে সেই রয়ে গেলেন একই জায়গায়।
এই অবস্থায় তিনি কী করবেন? এবার আত্মসমর্পণ করবেন নাকি এখনও প্রতিবেশী রাজ্যে আত্মগোপন করে থেকে পাহাড় আন্দোলনে মদত জুগিয়ে যাবেন। ১২ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যায় বৈঠক করতে আসছেন। সর্বদল বৈঠকেই পাহাড় সমস্যা অনেকচাই সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগেই গুরুংয়ের অবস্থানও অনেকটা স্থির হয়ে যাবে।
এই অবস্থায় গোর্খা নেতারা পরোক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজনাথ সিং হাত সরিয়ে নেওয়ায় রীতিমতে ক্ষুব্ধ মোর্চা নেতৃত্ব। এখন আর অন্য কোনও পথ খোলা নেই মোর্চা সুপ্রিমো ও তার সহযোগীদের কাছে।