হিংসার পথের পাহাড়ের আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চায় মোর্চা, জিটিএ চুক্তি পোড়ানোর ঘোষণা
ঘটা করে জিটিএ চুক্তি সই করেছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। জিটিএ থেকে পদত্যাগ করে এখন সেই চুক্তিই পুড়িয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত জা্রি রাখতে চাইছে মোর্চা।
জিটিএ থেকে পদত্যাগের পরই বোমা ফাটালেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। শনিবার রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠানোর পরই তিনি বিস্ফোরণ ঘটালেন, 'পুড়িয়ে ফেলা হবে জিটিএ চুক্তিপত্র'। ২৭ জুন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলনের মূল কর্মসূচিই হল এই জিটিএ চুক্তি পোড়ানো।
শুক্রবারই জিটিএ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মোর্চার ৪৩ জন সভাসদ। তাঁরা জিটিএ সচিবের কাছে পাঠিয়েছিলেন নিজেদের পদত্যাগপত্র। এবার সেই কাজ সমাধা করলেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি-রা। রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন তাঁরা। পদত্যাগ প্রক্রিয়া শেষ হতেই পাহাড়ে বিশাল মিছিল বের করল মোর্চা। সেই মিছিলে যোগ দিল সিপিআরএমও।
এদিন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকরা সিংমারি, পাতালেবাস, দার্জিলিং টয় ট্রেন স্টেশন থেকে মিছিল করে চকবাজারে জেলাশাসকের দফতরের সামনে জড়ো হন। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে স্লোগানও তোলা হয় মিছিল থেকে। স্লোগান ওঠে পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার ও ইন্টারনেট সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতেও।
এদিন প্রায় ২০ হাজার মোর্চা সমর্থক পথে নেমেছিল। গোর্খাদের প্রথাগত পোশাক পরেই এদিন মিছিল করেন মোর্চা সমর্থকরা। এদিন বিমল গুরুং বলেন, 'পাহাড়ে নিয়ে রাজ্য সরকার বিদ্বেষমূলক মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্যে। তাই আমাদের প্রতিবাদ চলবে। পিছু হটার কোনও কারণই নেই। এবার জিটিএ চুক্তিপত্র পুড়িয়ে রাজ্যকে বার্তা দেবে মোর্চা।'