ফের উত্তাপ চড়ছে পাহাড়ে, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সুর চড়ালেন গুরুং
ফের উত্তাপ চড়ছে পাহাড়ে, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সুর চড়ালেন গুরুং
ফের গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে সুর চড়ালেন বিমল গুরুং। পাহাড়ে পারত পতন শুরু হলেও গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে উত্তাপ বাড়ালেন তিনি। ডিসেম্বরে গোর্খাল্যান্ডের ইস্যুতে বৈঠক করবেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শিলিগুড়িতে সাংবাদিকস বৈঠক করে বিমল গুরুং বলেছেন, 'যে দল পাহাড় সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে ২৪ এর নির্বাচনে তাকেই সমর্থন।'
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কয়েকদিন আগেউ উত্তরবঙ্গ সফর করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে দেখা গিয়েছে রাজবংশী সম্প্রদায়ের নেতা মহন্ত মহারাজকেও। কাজেই এবার যে আর বিজেপির চিঁড়ে ভিজবে না ডুয়ার্সে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভোটের তাগিদে ভাইফোঁটার উপহারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছেন মহন্ত মহারাজকে। তারই মধ্যে আবার শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি।
কামতাপুরী আন্দোলনকারীরা সরব হয়েছেন পৃথক রাজ্যের দাবিতে। একুশের ভোটের পরেই একের পর এক বিেজপি সাংসদ গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তাঁরা দাবি জানিয়েছিলেন পৃথক রাজ্য না হলে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন হবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একুশের ভোটের আগে হঠাৎই একদিন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রকাশ্যে আসেন বিমল গুরুং। তিনি একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা বলেন।
তারপরেই ধীরে ধীরে পাহাড়ে ফেরেন গুরুং। কিন্তু মোর্চার রাশ তখন বিনয় তামাংয়ের হাতে। বিনয় তামাং শিবির কিছুতেই গুরুংকে ফিরিয়ে নিতে চায়নি। তার জেরে পাহাড়ে মোর্চা কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। গুরুং পন্থী আর বিনয়পন্থী। শেষে ভোটের পরে বিনয় তামাং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে মোর্চার দায়িত্ব এখন ফের বিমল গুরুংয়ের হাতে। কিন্তু এরই মধ্যে দার্জিলিংয়ে পুরভোটে নতুন পার্টির উদয় হয়েছে। হামরো পার্টি। বিপুল ভোটে জিতে পাহাড়ে পুরবোর্ড গঠন করেছে হামরো পার্টি। যার নায়ক গ্লেনারিজের প্রধান।
হামরো পার্টিকে সামনে রেখে নতুন করে পাহাড়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দার্জিলিংকে নতুন করে সাজানোর কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই আবার পঞ্চায়েত ভোট। পাহাড়ে ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকা বিমল গুরুং নতুন করে জেগে উঠেছেন। তিনি ডিসেম্বরেই ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রাজ্য সরকার দিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ের জন্য সেই প্রতিশ্রুতি তিনি পূরণ করেননি। সেকারণে তাঁরা ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়েছিলেন তিনি। গুরুং বলেছেন, 'যে দল পাহাড় সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে ২৪ এর নির্বাচনে তাকেই সমর্থন।' ডিসেম্বরে বৈঠক হবে দিল্লিতে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে।