ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোই স্বপ্ন, ৩২৮টি বিবাহ বিচ্ছেদ রুখে রেকর্ড কৃষ্ণনগরের বাবলির
ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোই তাঁর স্বপ্ন। সংসারে সুখ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজই তিনি ব্রত করেছেন জীবনে। ইতিমধ্যেই তিনি ৩২৮টি ভাঙা সংসার জোড়া লাগিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।
নদিয়া, ২৪ মার্চ : ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোই তাঁর স্বপ্ন। সংসারে সুখ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজই তিনি ব্রত করেছেন জীবনে। ইতিমধ্যেই তিনি ৩২৮টি ভাঙা সংসার জোড়া লাগিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন। কারও সংসার ভেঙে যাক, ছাড়াছাড়ি হয়ে যান স্বামী-স্ত্রী, তিনি মোটেও চান না। ছুটে যান খবর পেলেই। কাউন্সেলিংকে হাতিয়ার করে আবার ভাঙনের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন সংসারকে। জোড়া লাগিয়ে দেন সম্পর্ককে। ফিরিয়ে আনেন বিশ্বাস।
বাবলি মুখোপাধ্যায়। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের এক গৃহবধূ। জীবন দিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন সম্পর্ক ভাঙনের কষ্ট। তাই তিনি চান না পৃথিবীর কেউ এই ভাঙনের মুখোমুখি হন। তাই নিজেই নেমে পড়েছেন অসাধ্য সাধনের এই কাজে। গোটা পৃথিবীকে তিনি হয়তো সম্পর্কের ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পারবেন না। কিন্তু একই মধ্যে তিনি যা করেছেন, তা যে অসাধ্য সাধনই। ৩২৮টি ভাঙা সম্পর্ককে জোড়া লাগানো কি চারটিখানি কথা!
কিন্তু কীভাবে এই প্রায় অসম্ভব কাজকে অবলীলায় করে চলেছেন বাবলি? তাঁর মুখেই শোনা গেল সেই অসাধ্য সাধনের রহস্য। এই লড়াইয়ে তাঁর জাদুকাঠি হল কাউন্সেলিং। কে বলে ভাঙা মন জোড়া লাগে না! বাবলি তো তাঁর কাউন্সেলিংয়ের জাদুতে সেই কাজ করে চলেছেন বছরের পর বছর। ফিরিয়ে দিয়েছেন অধরা সুখ।
সংসার ভেঙে যাচ্ছে কিংবা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভাঙনের মুখে- এমনটা শুনলেই তিনি ছুটে যান সেই পরিবারের কাছে। আলাদা করে কথা বলেন স্বামী ও স্ত্রীর সঙ্গে। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। যদি বোঝেন, কাউন্সলিংয়ের মাধ্যমেই সম্ভব দুই মনকে এক করা, তাহলে সেটাই করেন তিনি। যদি মনে হয়, প্রশাসনের সাহায্য প্রয়োজন, তিনি প্রশাসনের সাহায্য নেন। এভাবেই একের পর এক ভাঙা সংসার জোড়া লাগিয়ে চলেছেন বাবলিদেবী। তাঁর কাজ দিয়েই তিনি আশীর্বাদ কুড়োচ্ছেন শত শত পরিবারের।