বড় ক্ষতি হয়ে গেল! শ্রাবন্তী চলে যাওয়ায় কেন এমন লিখলেন অনুপম?
বড় ক্ষতি হয়ে গেল! শ্রাবন্তী চলে যাওয়ায় কেন এমন লিখলেন অনুপম?
বিজেপি ছাড়ার রাজনৈতিক ট্রেন্ড নতুন নয়। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে অনেকেই ছেড়েছেন গেরুয়া শিবির। মুকুল রায় থেকে শুরু করে বাবুল সুপ্রিয়, অনেকেই দল ছেড়েছেন। কেউ কেউ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, কেউ আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এবার সেই তালিকাতেই নাম অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর।
কেন এমন লিখলেন অনুপম!
ভোটের আগে ঘটা করে বিজেপিতে যোগ। আর ভোট মেটার পর ফেসবুকে ফলাও করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। তবে বিজেপির তাতে কতটা গেল-এল?বেশির ভাগ নেতাই বলছেন, তেমন কোনও প্রভাব পড়ল না। বিজেপি নেতা অনুপম রায়ও শ্লেষাত্মক মন্তব্য ছুড়ে দিলেন ফেসবুকে।এ দিন শ্রাবন্তী দল ছাড়ার পর বিজেপি নেতা ফেসবুকে লেখেন, শ্রাবন্তীর মতো নেত্রী বিজেপি ছেড়ে চলে যাওয়ায় সংগঠনের যে ভয়ানক ক্ষতি হয়ে গেল, তা হয়ত ভবিষ্যতে কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না। কার্যত ব্যঙ্গের সুরেই এ কথা বলেছেন তিনি। আদতে শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংগঠনের তেমন কোনও সম্পর্ক নেই, তাই দলে যে প্রভাব পড়বে না, তা মোটামুটি স্পষ্ট।
ভুলের মাশুল
একই সুর শোনা গিয়েছে আর এক বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের গলায়। তিনি অবশ্য প্রথম থেকেই এই অভিনেত্রীদের দলে নেওয়ার বিরোধী ছিলেন তিনি। ভোটের পর গেরুয়া শিবিরের এই তারকা প্রার্থীদের নগরের নটি বলে উল্লেখ করেছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তাঁদের ভোটে লড়ানোর সিদ্ধান্তকে আগেও সমর্থন করেননি তিনি। এ দিন শ্রাবন্তী দল ছাড়ার পর তিনি জানান, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। এতে তিনি অবাক হননি। তাঁর কথায়, অনেক আগেই এমনটা বলেছিলেন তিনি। তিনি জানান, যা বলেছিলাম, মোটামুটি তাই হচ্ছে। নগরীর নটিদের দলে আনা যে রাজনৈতিক ভুল ছিল, সে কথা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দেন তিনি। এখন সেই ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তথাগত। তথাগত রায়ের কথায়, এই সব প্রার্থীদের পিছনে টাকা খরচ করা ঠিক হয়নি।
৫০ হাজার ভোটে হেরে যান শ্রাবন্তী
এ দিন সকালে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন তিনি। বেহালার মতো তৃণমূলের শক্তঘাঁটি থেকে লড়াই করেন তিনি। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হার মানতে হয় তাঁকে। নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে পতাকা তুলে নেন তিনি। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়েন অভিনেত্রী। প্রায় ৫০ হাজার ভোটে হেরে যান শ্রাবন্তী। ভোটের পর থেকেই অবশ্য রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আর তেমন সক্রিয় হতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। এবার দল ছাড়ার কথা নিজেই ঘোষণা করলেন তিনি।