বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য আসন নিয়ে শাহের দাবিকে কটাক্ষ! বকেয়া টাকা মেটান, দাবি অনুব্রতর
দিল্লি থেকে একদিন এসেই সব বিষয়টি বুঝে গেলেন। অত সোজা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য আসন নিয়ে অমিত শাহের (amit shah) দাবিকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্
দিল্লি থেকে একদিন এসেই সব বিষয়টি বুঝে গেলেন। অত সোজা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য আসন নিয়ে অমিত শাহের (amit shah) দাবিকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)।
ভোটের আগেই তছনছ হবে তৃণমূল! দল ভাঙানোর খেলায় হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতাকে সাপুড়ে বললেন অধীর
আসন নিয়ে অমিত শাহের দাবি
৫ নভেম্বর বাঁকুড়ায় গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, মমতার সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গিয়েছে। সেখানে তাঁর দাবি ছিল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যেকর দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিজেপির জয় হবেই। এরপর তিনি যেখানেই গিয়েছেন, সে দলীয় সভা হোক কিংবা সাংবাদিক সম্মেলন অমিত শাহ দলের টার্গেট নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কোথাও বলেছেন বিজেপি ২০০ আসন পাবে। এব্যাপারে তিনি আরও বলেছিলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন বিজেপি রাজ্য থেকে ২২ টি আসন পাবে। বিজেপি ১৮ টি আসন পেয়েছিল।
অমিত শাহকে কটাক্ষ
মঙ্গলকোট থেকে অমিত শাহরে উদ্দেশে বলেন, একদিন বাংলায় এসেই সবটুকু বুঝে গেলেন। অতটাই সোজা? বাংলার মানুষ গুজরাতের লোকটাকে মেনে নেবে ? তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প গেল, মোদীও যাবে। মোদীর সঙ্গে যেই বন্ধুত্ব করেছে, তারাই শেষ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অনুব্রত মণ্ডল। মোদীর সময় শেষ হয়ে এসেছে বলেও বলেন অনুব্রত।
কেন্দ্রের কাছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা দাবি
তৃণমূলের দাবি রাজ্যের হাজার হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে কেন্দ্রের ঘরে। সেই দাবি এদিন আরও একবার করে অনুব্রত বলেন তারা দালালি চান না। রাজ্যের বকেয়া ৫৬ হাজার কোটি টাকা চান। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা স্মরণ করান। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভিক্ষে নয়, রাজ্যের বকেয়া টাকা ফেরত দাও। ওই টাকা হকের টাকা বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ
অমিত শাহের বাংলা সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী পিরহাদ হাকিম। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, গুজরাত থেকে এটা মোটা শরীর আনলাম আর বাংলা জয় করলাম তা হবে না। এখানে সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ। বাঁকুড়ায় আদিবাসী পরিবারে অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজন সম্পর্কে তিনি বলেন, আদিবাসীকে ধর্ষণ করার পর তাঁর বাড়িতে খেলেই কি কেউ বিশ্বাস করে? বিজেপির আন্দোলনের জেরে রাজ্যে করোনা বেড়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
বিধায়কের নিশানায় ছিলেন অনুব্রত
মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক হলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি গ্রন্থাগার মন্ত্রীও বটে। দিন কয়েক আগে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অঙ্ক বোঝেন না অনুব্রত মণ্ডল। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপদার্থ বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, শিক্ষিত মানুষকে অপমান করছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি আরও বলেছিলেন জমানা বদলাচ্ছে, পরিবর্তন আসছে। সেই মঙ্গলকোটে ৪ টি পঞ্চায়েত ও ৫৯ টি বুথের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন এই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেই সভা থেকে তৃণমূলের নেতাদের যেমন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেন তেমনই অমিত শাহকে নিশানা করেন তিনি।