মুকুলের হাত ধরতেই আইনের ফাঁদে, সহবাস মামলার পর মারধরে জেল প্রাক্তন চেয়ারম্যানের
তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়ার পরই তাঁর উপর খাঁড়া নেমেছে। সহবাস ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ধৃত আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে যুক্ত হয়েছে পুরনো মামলাও।
একের পর এক মামলার বোঝায় বিপদ বাড়ছে পাঁশকুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের। তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়ার পরই তাঁর উপর খাঁড়া নেমেছে। প্রাক্তন প্রেমিকাকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ধৃত আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে যুক্ত হয়েছে পুরনো মামলাও।
মঙ্গলবার তাঁকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ৩১ জানুয়ারি তাঁকে ফের তমলুক আদালতে পেশ করা হবে। এদিন পাঁশকুড়া থানার একটি পুরনো মামলায় আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর দুপুরে পাঁশকুড়ার মায়সরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কুরবান শা'কে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল আনিসুরের বিরুদ্ধে।
ঘটনার দিনই পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আনিসুরের বিরুদ্ধে। কিন্তু তখন শাসকদলে থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল না। পুলিশে আস্থা হারিয়ে গত ১৭ নভেম্বর তমলুক আদালতে মামলা করেন কুরবান। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আনিসুরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত।
এরই মধ্যে গত ৭ জানুয়ারি প্রেমিকাকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে প্রথমে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন বিচারক। তারপর আদালতে পেশ করলে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে তার আগেই এদিন পুরনো মামলায় আনিসুরকে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ আদালতে পেশ করে। আর এদিন তমলুক আদালতে তোলা হলে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজত হয়। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হয়েছে। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
২০১১ সালের একটি মারধরের ঘটনাতেও তাঁর নাম জড়ায়। সেই মামলায় জামিন পান আনিসুর। তবে কুরবান শা কে মারধরের ঘটনায় জামিন নাকচ হয়। তাঁকে আগামি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।