বড়দিনের আগেই ব্যাপক বিস্ফোরক উদ্ধার সাপুরজিতে, ধৃতদের কাছ থেকে মিলল অত্যাধুনিক বন্দুক
সামনেই বড়দিন। সেই কাউন্টডাউন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে শহর-কলকাতা। আর এর মধ্যেই বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। শুধু তাই নয়, উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও। ইতিমধ
সামনেই বড়দিন। সেই কাউন্টডাউন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে শহর-কলকাতা। আর এর মধ্যেই বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। শুধু তাই নয়, উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও। ইতিমধ্যে ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই পরিমান বিস্ফোরক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল , কি কারনে এত বিস্ফোরক জড়ো করা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ধৃত দুজনকে দফায় দফায় জেরা করা চলছে।
তবে বড়দিনের আগে এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।
গোপন সুত্রে খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সাপুরজি আবাসনের কাছের বাসস্ট্যান্ডে তল্লাশি চালায় স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশের বিশেষ এই টিমের কাছে খবর আসে বাসস্ট্যান্ডে সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করছে। আর এরপরেই হানা দেয় পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই জনকে পাকড়়াও করেন এসটিএফের আধিকারিকরা। তাঁদেরকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ধৃত দুজনকের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় ব্যাপক বিস্ফোরক। প্রায় ১৩ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, কার্বন সহ বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কোথা থেকে ওই বিস্ফোরক ও অস্ত্র আনা হয়েছে, কী উদ্দেশে আনা হয়েছে, কোথায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।
অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলিও বা কি প্রকৃতির তা জানতে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই সাপুরজি বাসস্যান্ডের কাছে একটি আবাসনে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। পঞ্জাব থেকে বেশ কয়েকজন মোস্ট ওয়াটেন্ড দুস্কৃতি লুকিয়ে থাকার খবর আসে। আর এরপরেই তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে গেলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে আবাসনগুলির নিরাপত্তা। তবে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার শাপুরজি বাসস্ট্যান্ডে এই পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য।
অন্যদিকে বড়দিন এবং বর্ষশেষের রাতে ব্যাপক লোকসমাগম হয় পার্কস্ট্রিট সহ কলকাতার একাধিক জায়গাতে। সেদিকে তাকিয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একাধিক ওয়াচ টাওয়ার থেকে শুরু করে পুলিশের ক্যুইক রেসপন্স টিম, র্যাফকে নামানো হচ্ছে।
শপিং মল থেকে শুরু করে ধর্মস্থানগুলিতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্তা থাকছে পুলিশের তরফে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন অংশেও পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ একযোগে বাংলার সুরক্ষা বজায় রাখতে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।