প্রমাণ নেই, মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলায় অভিযোগ থেকে মুক্ত লালু আলম
১৯৯০ সালের ঘটনা। তখন মমতা ব্যানার্জী প্রদেশ কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন। সেসময হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন সিপিএম নেতা লালু আলম।
১৯৯০ সালের ঘটনা। তখন মমতা ব্যানার্জী প্রদেশ কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন। সেসময হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন সিপিএম নেতা লালু আলম। ২৯ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হল অভিযুক্ত সিপিএম নেতাকে।
২৯ বছর আগের ঘটনা। অনেকের স্মৃতিতেই নেই। আজকের এই সিদ্ধান্ত আবার মনে করিয়ে গিল সেই ঘটনা। মমতা তখন কংগ্রেস নেত্রী। প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে বনধের সমর্থনে পথে নেমেছিলন তিনি। রাজ্যে তখন বাম সরকার। বনধ অসফল করতে মরিয়া সিপিএম নেতৃত্ব হাজরা মোড়ের অবরোধের কথা জানতে পেরেই দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হয়েিছলেন এলাকার সিপিএম নেতা শাহ আলম। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল শাহ আলম অবরোধ তোলার নাম করে পরিস্থিতি হিংসাত্মক করে তুলেছিল। বিক্ষোভ থেকে মমতাকে হঠাতে তাঁর মাথায় বাঁশ দিেয় আঘাত করেছিলেন সিপিএম নেতা। মমতা আহত হয়ে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন।
মমতার উপর হামলার ঘটনায় মামলা চলছিলই আদালতে। তদন্ত শেষ করে চার্জ গঠন করতে করতে পুলিস ২৮ বছর সময় লাগিয়ে দেয়। কিন্তু এই ঘটনা নিেয় কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করা হয়নি বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। নানা প্রশাসিক কাজে পরবর্তীকালে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাও আর হয়ে ওঠেনি।
অবশেষে মামলার নিষ্পত্তি কী হবে এই নিয়ে তৎপর হন সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায়। তিনিই আদালতকে চিঠি দিয়ে সরকারকে অব্যহতি দেওয়ার আবেদন জানান। তথ্য প্রমাণের অভাবে অবশেষে আলিপুর আদালত বেকসুর খালাস করে সিপিএম নেতা লালু আলমকে।
[ মোদী সরকার ২.০-এর ১০০ দিনের কাজ শুধু ট্রেলার, পুরো ফিল্ম এখনও বাকি : প্রধানমন্ত্রী ]
সূত্রের খবর সেই ঘটনার এতোদিন কেটে গিয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযুক্ত সিপিএম নেতাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এমনই খবর। যদিও রাজনীতির সঙ্গে এখন আর তেমন যোগ নেই বলে জানিয়েছিলেন লালু আলম।
[ সিপিএম সুয়োরানি! বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলের ৪ জেনারেশন তৈরি, বার্তা মমতার]