মুর্শিদাবাদ-কেরলে বসেই দিল্লি-কাশ্মীরে হামলার ছক কষছিল জঙ্গিরা! তদন্ত জারি এনআইএ-র
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং কেরল থেকে গত সপ্তাহেই ৯ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গোয়েন্দারা রাতভর অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। তাদের মধ্যে ছয় জন মুর্শিদাবাদের। গোয়েন্দাদের দাবি এই জঙ্গি মডিউলের ভারতে হামলার পরিকল্পনা ছিল।
রাজধানী দিল্লিতে হামলার ছক
মূলত রাজধানী দিল্লিতে হামলার ছক কষছিল বলে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে জানতে পেরেছিল এনআইএ। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ তারিখে দিল্লিতে দায়ের হয় মামলা। তারপরই এনআইএ-র গোয়েন্দাদের একটি দল মুর্শিদাবাদ থেকে এই ছয় জনকে গ্রেফতার করে৷
কাশ্মীরেও হামলার ছক কষা হচ্ছিল
পরে তাদের দ্বিতীয় ধাপে কলকাতার এনআইএ স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমতি দেন৷ ধৃত জঙ্গিদের থেকে কাশ্মীরের বেশকিছু ছবিও পাওয়া গেছে। যা থেকে অনুমান, রাজধানীর পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরেও হামলার ছক কষা হচ্ছিল এদের তরফে।
মডিউলের বেশিরভাগই বাঙালি
তদন্তকারীদের মতে, কেরলের কালামশরীর পাথালাম থেকে গ্রেফতার হওয়া আলকায়দা জঙ্গি মুর্শিদ হাসান, ওরফে সুফিয়ান ছিলেন বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন দ্বারা অনুপ্রাণিত জিহাদি সন্ত্রাসীদের গোষ্ঠীর প্রধান। এই সংগঠনে ১০ জনেরও বেশি সদস্য ছিল। যাদের বেশিরভাগই বাঙালি।
চ্যাট গ্রুপের সূত্র ধরে গ্রেফতার জঙ্গিরা
এদিকে, যে চ্যাট গ্রুপের সূত্র ধরে এই জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করল এনআইএ, সূত্রের খবর তার নাম ছিল গাজওয়াতুল হিন্দ। জঙ্গিরা ভারতে গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই জেহাদ চালিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদের কাছ থেকে অতীতে পাওয়া একাধিক কাগজপত্রে এই বিষয়টি গোয়েন্দাদের কাছে পরিষ্কার। সেই চ্যাট গ্রুপের সমস্ত তথ্য হাতে পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
সুফিয়ানের সাম্প্রতিক কললিস্ট পেয়েছেন গোয়েন্দারা
সাম্প্রতিক বেশকিছু ঘটনায় লেদের অছিলায় অস্ত্র কারখানার হদিস পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সুফিয়ানের কারখানায় কাদের আনাগোনা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সুফিয়ানের বাড়িতে মিলেছে একটি সুড়ঙ্গ। কিছুদিন আগেই সেটি তৈরি করা হয়েছে। সেই সুড়ঙ্গে পাওয়া গেছে বোমা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার জন্যই তৈরি হয়েছিল ওই সুড়ঙ্গ। সুফিয়ানের সাম্প্রতিক কললিস্ট পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই লিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিল্লিতে জারি জিজ্ঞাসাবাদ
ধৃত জঙ্গিদের থেকে কথা বের করতে রীতিমতো ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, তারা বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তদন্তকারীদের। এদিকে গোয়েন্দাদের কাছে প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে জঙ্গিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। আর সেই গ্রুপ থেকেই আরও দুই জঙ্গির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর।
দিল্লির নয়া চাল, লাদাখে সেনার বৈঠকে রাজনৈতিক গন্ধ! চুশুলে উপস্থিত বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধি