আকাঙ্খা হত্যাকাণ্ড : রায়পুরে উদয়নের বাড়ির বাগান থেকে মিলল খুলি, হাড়গোড়!
উদয়নের বয়ান মেনেই তাকে সঙ্গে নিয়ে রায়পুরের সুন্দরনগরের তাদের বাড়ি যায় পুলিশ। সেখান থেকে বাগান খুঁড়ে বেশ কিছু মানুষের শরীরের হাড়গোড় এবং খুলির অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রায়পুর, ৫ ফেব্রুয়ারি : আকাঙ্খা শর্মা হত্যাকাণ্ড রহস্যের তদন্তে নেমে আরও দুটি খুনের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। সেই হদিশ অবশ্য দিয়েছে খুনী উদয়ন দাস নিজেই। মা-বাবাকে খুন করে বাড়ির বাগানে মৃতদেহ পুঁতে দিয়েছিল বলে জানিয়েছিল সে। উদয়নের বয়ান মেনেই তাকে সঙ্গে নিয়ে রায়পুরের সুন্দরনগরের তাদের বাড়ি যায় পুলিশ। সেখান থেকে বাগান খুঁড়ে বেশ কিছু মানুষের শরীরের হাড়গোড় এবং খুলির অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।[বেহালায় ভ্যাটে থেকে মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড় উদ্ধারে চাঞ্চল্য]
উদয়ন পুলিশকে যে তথ্য দিয়েছিল তা সত্যি তা এদিন উদয়নের বাড়ির বাগান খোঁড়ার পরই প্রমাণ হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে ও কেন বাবা-মাকে সে খুন করেছিল তা জানতে পারেনি পুলিশ। [৬ মাস ধরে দিদির কঙ্কালের সঙ্গে বসবাস ভাইয়ের, খাবারও দিতেন নিয়মিত!]
জেরার মুখে পড়ে উদয়ন জানিয়েছিল, বাবা-মাকে খুন করে রায়পুরের সুন্দরনগরের বাড়ির বাগানে সে পুঁতে দিয়েছিল। এরপরই পুলিশ সত্য জানতে উদয়নকে নিয়ে রায়পুরে তাদের পুরনো বাড়িতে যায়। এবং বাড়ির বাগানে উদয়নের দেখানো জায়গায় মাটি খোঁড়া শুরু করা হয়।[কলকাতার 'কঙ্কাল বাড়ি'! এমন ঘটনা তো প্রথমবার নয়, তবে এত হইচই কেন?]
মাটি খোঁড়া শুরু হতেই এলাকা তীব্র দুর্গন্ধে ভরে যায়। এখান থেকে বেশকিছু পায়ের হাড়ের টুকরো, খুলির একটি অংশ পাওয়ায় যায়। এছাড়াও বেশ কিছু কাপড়ের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। যা উদ্ধার হয়েছে তার বেশিরভাগটাই বস্তায় ভরা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এইখান থেকে মাটি খুঁড়ে আরও তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। [হিন্দি সিনেমা 'দৃশ্যম' দেখে একই কায়দায় এক ব্যক্তিকে খুন বাবা-ছেলের]
ঘটনাস্থলে উদয়নকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। যতক্ষণ খোঁড়াখুড়ি চলছিল নির্বাক ও নিরুত্তাপ ছিল উদয়ন। প্রতিবেশীদের কথায়, যখন এই বাড়ি তৈরি হয়, এবং উদয়নরা থাকতে শুরু করে তখন এলাকাটি অত্যন্ত ফাঁকা ফাঁকা ছিল, তাই কবে উদয়নের বাবা-মাকে খুন করা হয়, কবে থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দেখা পাওয়া যায়নি তা প্রতিবেশীরাও বলতে পারছেন না।