আকাঙ্খার আগে নিজের বাবা-মাকেও খুন করেছে উদয়ন, দাবি ভোপাল পুলিশের
ভোপাল পুলিশের দাবি, জেরায় উদয়ন স্বীকার করেছে, আকাঙ্খার আগে নিজের বাবা-মাকে গলার টিপে খুন করে বাড়ির মধ্যেই বাগানে একটি জায়গায় পুঁতে দিয়েছে সে।
ভোপাল, ৪ ফেব্রুয়ারি : বাঁকুড়ার তরুণী আকাঙ্খা শর্মা খুনের তদন্তে গ্রেফতার অভিযুক্ত উদয়ন দাসকে গ্রেফতার করে জেরা করতেই বেরিয়ে এল আরও ভয়াবহ তথ্য। ভোপাল পুলিশের দাবি, জেরায় উদয়ন স্বীকার করেছে, আকাঙ্খার আগে নিজের বাবা-মাকে গলার টিপে খুন করে বাড়ির মধ্যেই বাগানে একটি জায়গায় পুঁতে দিয়েছে সে।[আকাঙ্খা খুনে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি প্রেমিক উদয়নের, উদ্ধার হল দেহের আকৃতির কংক্রিটের চাঙর]
এই বয়ানের সত্যাসত্য যাচাই করতে রায়পুরে উদয়নের বাড়ি গিয়ে তা যাচাই করে দেখবে পুলিশ। তবে এমন ঘটনা সত্যি হলে উদয়নের মানসিক অসুস্থতা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে বলে পুলিশের একটা অংশ মনে করছে। এই ধরনের ঘটনা মানসিক বিকারগ্রস্ততা ছাড়া ঘটানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন মানসিক বিশেষজ্ঞরা।[আকাঙ্খা হত্যা মামলা: প্রেমিকের সন্দেহের জেরে গলা টিপে খুন, পরে পুঁতে রাখা হয় দেহ]
আকাঙ্খাকে খুন করে ঘরের ভিতরেই চৌবাচ্চা বানিয়ে তার মধ্যে ঢুকিয়ে বাইরে মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে দিয়েছে উদয়ন। নিজে জেরায় সেই কথা জানানোর পরে পুলিশ সাত ঘণ্টার চেষ্টায় সেই মার্বেলের স্ল্যাব ভেঙে দেহ উদ্ধার করেছে। এবার নিজের বাবা-মাকে খুন করার কথাও একইভাবে স্বীকার করল সে।[ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করায় স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর]
আকাঙ্ক্ষা শর্মারা আদতে বিহারের বাসিন্দা হলেও তাঁর বাবা বাঁকুড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হওয়ায় সেখানেই থাকত গোটা পরিবার। গত বছরের জুনে বিদেশে চাকরি পেয়েছে বলে ঘর ছাড়ে আকাঙ্খা। সোজা গিয়ে ওঠে প্রেমিক উদয়নের বাড়িতে। সেখান থেকে স্যোশাল মিডিয়া ও ফোনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে। তবে ডিসেম্বরের শেষ থেকে আকাঙ্খার মোবাইলে যোগাযোগ করা না যাওয়ায় পরিবারের তরফে জানুয়ারির শুরুতে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।[হিন্দি সিনেমা 'দৃশ্যম' দেখে একই কায়দায় এক ব্যক্তিকে খুন বাবা-ছেলের]
এরপর তদন্তে নেমে আকাঙ্ক্ষার মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পৌঁছয় বাঁকুড়া পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় উদয়নকে। এরপরই জেরায় প্রথমে আকাঙ্খাকে খুনের কথা ও পরে বাবা-মাকে খুন করার দাবিও করেছে সে।