আব্বাস কাঁটা! নবান্নে ত্বহার সঙ্গে বৈঠক মমতার, যাচ্ছেন ফুরফুরা শরিফও
এবারের ভোটে বড় ফ্যাক্টার সংখ্যালঘু ভোট! যা কিন এতদিন ছিল তৃণমূল সরকারের পক্ষেই। অন্তত গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনের হিসাব এমনটাই বলছে। তবে এবার সংখ্যালঘু ভোট কাদের সঙ্গে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছেই।
এবারের ভোটে বড় ফ্যাক্টার সংখ্যালঘু ভোট! যা কিন এতদিন ছিল তৃণমূল সরকারের পক্ষেই। অন্তত গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনের হিসাব এমনটাই বলছে। তবে এবার সংখ্যালঘু ভোট কাদের সঙ্গে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছেই।
ইতিমধ্যে নতুন দল খুলেছেন আব্বাদ সিদ্দিকি। বাংলার সংখ্যালঘু এলাকায় ইতিমধ্যে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। এই অবস্থায় সংখ্যালঘু ভোট তাঁদের সঙ্গেই রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল-বিজেপি দু দলেরই!
ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক
এই অবস্থায় ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্নে দীর্ঘক্ষণ ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে দুপক্ষের বৈঠকে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, সামনেই উরস উতসব রয়েছে। তিনদিন ধরে হয় ওই উতসব। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে যাওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ত্বহা।
ফুরফুরা শরিফ যেতে পারেন মমতা
একদিকে আব্বাস। অন্যদিকে মিম। কার্যত তৃণমূলের শক্ত ভোট ব্যাংকে থাবা বসতে চলেছে। এই অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ত্বহার সঙ্গে মমতার বৈঠক রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে ফুরফরা শরিফ যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। উতসবের মধ্যেই যেতে পারেন একদিন ফুরফুরা শরিফ। আর তা যদি না হয় তাহলে ভোটের একেবারে শেষমুহূর্তে সেখানে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর।
আব্বাসের কারনে কমেছে কি ত্বহার প্রভাব!
সংখ্যালঘু মানুষজনের উপর একটা বড় প্রভাব ছিল ত্বহার। এমনকি, দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে তাঁর অঙ্গুলিহেলনেও রাজনীতির অনেক পাশা ঘুরে যেত। আর সেই কারনে বিভিন্ন সময়ে ত্বহার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন শাসক হোক কিংবা বিরোধী শিবিরের রাজনীতিবিদদের। এমনকি একাধিকবার বিজেপিতে যাওয়ার পরও মুকুল রায় দেখা করেছেন ত্বহার সঙ্গে। এমনকি', বামনেতাদেরও ফুরফুরা শরিফে যেতে দেকগা গিয়েছে। কিন্তু এখন অনেকটাই খেলা ঘুরেছ। নয়া দল গঠন করেছে আব্বাস। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট যাচ্ছেন আব্বাস। এই অবস্থায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন ত্বহা। তবে শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘু ভোট কোনদিকে যায় সেটাই এখন দেখার। রাজনৈতিকমহলের মতে, বাংলার সংখ্যালঘু ভোটের কারনে হয়তো অনেক খেলাই ঘুরে যেতে পারে।