মমতার পথেই মোদী! ক্ষমতায় আসলেই বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন, টুইটে ঘোষণা বাংলার বিজেপির
দৈণিক করোনার সংক্রমণ হু হু কর বাড়ছে। ইতিমধ্যে দৈণিক সংক্রমণের হার ১২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দিনে দিনে আতঙ্ক বাড়ছে। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন নেওয়ার ভিড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়াল
দৈণিক করোনার সংক্রমণ হু হু কর বাড়ছে। ইতিমধ্যে দৈণিক সংক্রমণের হার ১২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দিনে দিনে আতঙ্ক বাড়ছে। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন নেওয়ার ভিড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়ালেও মিলছে ডোজ। এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
যদিও এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই বঙ্গ বিজেপি। যদিও বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলির দাবি, ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছেন তৃণমূল বিজেপি উভয় দলই।
মমতার ভ্যাকসিন প্রতিশ্রুতি
আগামী ৫ মে থেকে রাজ্যে বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২ মে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। তার পরই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে বিনা পয়সায় করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, কলকাতা-সহ শহরাঞ্চলে যেহেতু অতিমারির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেখান থেকেই প্রথমে টিকাকরণ শুরু হবে। তার পর একে একে জেলাগুলিতে টিকাকরণের এই কাজ শুরু হবে। গত কয়েকদিন আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা। সেখানেই বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণের ঘোষণা করেন তিনি। মমতা বলেন, ''নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ৫মে থেকে সার্বিক টিকাকরণ শুরু করব আমরা। ১৮ বছর থেকে যে চাইবে, সে-ই পাবে। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সরকার থেকে আমরা প্রতিষেধক কিনে দেব।''
মমতার পথেই বাংলার বিজেপিও
রাজ্যে ক্ষমতায় এলেই বিনামূল্যে প্রত্যেককে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে৷ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হাঁটল বিজেওই। কিছুক্ষণ আগেই বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয় হবে বলে ট্যুইট করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। মমতার ঘোষণার পরেই বিজেপির তরফেও একই প্রতিশ্রুতি! বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা। রাজ্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রত্যেককে সরবরাহ করা হবে৷'
ভ্যাকসিন রাজনীতি, অভিযোগ বিরোধীদের
তৃণমূল বিজেপি মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে! ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ বাম কংগ্রেসের। মানুষ কীভাবে বাঁচবে এখন, সে কথা কেউ বলছে না, অভিযোগ বামেদের। তবে করোনার যে ভংকর পরিস্থিতি চলছে সেদিকে তাকিয়ে সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিৎ বলে দাবি সংযুক্ত মোর্চার। আর সেই কারনে ইতিমধ্যে তাঁরা সমস্ত মিটিং মিছিল বন্ধ করে দিয়েছেন বলে দাবি। পুরোটাই মানুষের উপর তাঁরা ছেড়ে দিয়েছেন।
রাজ্যের সাহায্যে বাংলাতে করোনাতে টিকা
কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে করোনার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। আর তা রাজ্যের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ঠিকঠাকভাবে করোনার টিকা পাঠানো হচ্ছে না। ১ মে-র পরও এই পদ্ধতিতে টিকাকরণ চলবে৷ পাশাপাশি, রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে ১৮-র ঊর্ধ্বে প্রত্যেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন৷ তবে, কোনও রাজ্য সরকার বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেবে কি না, তা নির্ভর করছে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের উপরে৷ কারণ, কেন্দ্র যেখানে ১৫০ টাকায় প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন কিনছে, সেখানে রাজ্য সরকারকে তা কিনতে হবে ৪০০ টাকায়৷ কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন দাম দুরকম হচ্ছে তা নিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরাসরি এবার করোনার ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্যগুলি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিন কেনার আর্জি জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে উৎপাদন কেন্দ্র গুলি এবার তাদের উৎপাদনের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রকে দেওয়ার পর বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্যগুলিকে সরাসরি বিক্রি করতে পারবে। এরই মধ্যে জাতীয় ভ্যাকসিন পলিসিতে একটি বড় রদবদল আনা হয়েছে। সোমবারই এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। আগামী ১ মে থেকে ১৯ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। বর্তমানে কেবলমাত্র মাত্র ৪৫ বছরের উর্ধ্বে হলে তবেই ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। এবার থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আর ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা গুলি প্রথমে তাদের উৎপাদনের অর্ধেক তুলে দেবে কেন্দ্রের হাতে। কেন্দ্র প্রয়োজন বুঝে বিভিন্ন টিকাকরণ কেন্দ্রে সেই ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠাবে। এরপর বাকি অর্ধেক রাজ্যগুলি পূর্ব নির্ধারিত দামে কিনতে পারবে অথবা খোলা বাজারে বিক্রি করা হবে।