পাঁচ দিনে পড়ল কুর্মিদের অবরোধ! বাতিল ২৫০ ট্রেন, জাতীয় সড়কে দীর্ঘ যানজট
পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও অবস্থান থেকে সরতে নারাজ কুর্মিরা। তফশিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও মাতৃভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কুর্মি এবং আদিবাসী সমাজ। গত পাঁচদিন ধরে চলছে অবরোধ-বিক্ষোভ। একেবারে
পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও অবস্থান থেকে সরতে নারাজ কুর্মিরা। তফশিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও মাতৃভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কুর্মি এবং আদিবাসী সমাজ। গত পাঁচদিন ধরে চলছে অবরোধ-বিক্ষোভ। একেবারে স্তব্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে পুরুলিয়ার কুস্তাউর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশন।
শুধু তাই নয়, অবরোধে আটকে পড়েছে খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। পাঁচদিন ধরে সেখানেও অবরোধ চলছে। আর এই বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচিতে একেবারে ভয়ঙ্কর অবস্থা সাধারণ মানুষের।
একের পর এক ট্রেন বাতিল -
আজ শনিবার নিয়ে এই বিক্ষোভ-অবরোধ পাঁচদিনে পড়ল। একেবারে রেল লাইনের উপর বসে চলছে বিক্ষোভ। যার জেরে বিভিন্ন লাইনে আটকে পড়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক মালগাড়ি। এখনও পর্যন্ত ২৫০ টিরও বেশি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল এই অবরোধের জন্য করা হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে আরও কয়েকটি ট্রেনের। টাটানগর খড়গপুর স্পেশাল, টাটানগর হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম ধানবাদ এক্সপ্রেস, টাটানগর দানাপুর এক্সপ্রেস, টাটানগর আসানসোল স্পেশাল, হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, চক্রধরপুর টাটানগর এক্সপ্রেস-সহ ৪০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে ব্যাপক দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
কয়েক কিমি জুড়ে লম্বা লাইন
পাঁচদিন ধরে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক। নতুন করে বেশ কয়েকটি জায়গাতেও আদিবাসীরা অবরোধ করছে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে ব্যাপর প্রভাব পড়েছে জাতীয় সড়কে। ইতিমধ্যে কয়েক কিমি জুড়ে লম্বা গাড়ির জ্যাম পৌঁছে গিয়েছে। কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বুঝতে পারছেন না কেউ। দিনের পর দিন গাড়িতে পচছে ভিন রাজ্য থেকে আনা সমস্ত জিনিস। ফলে পুজোর মুখে একাধিক জিনিসের দাম বাড়তে পারে বলে ইতিমধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শাক-সবজি, মাছে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকে না আন্দোলনকারীদের
এই অবস্থা কাটাতে শুক্রবারই বৈঠকে বসার ডাক দেওয়া হয় সরকারের তরফে। ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার দফতরের তরফে আন্দোলনকারীদের চিঠি দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁরা বৈঠকে যোগ দেবে না। অন্যদিকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে রেলের তরফে সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আর এর মধ্যেই সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এই অবরোধের তীব্র িনন্দা করেছেন এবং তিনি অভিযোগ করেছেন এই আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। তাঁরাই মদত দিচ্ছে কুড়মিদের অবরোধকে। পালটা দিয়েছে শাসকদলও। আর এই অবস্থার মধ্যে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। সমস্যা বাড়ছে মানুষের।