এক ডায়লগেই মাত মমতা! বেঙ্গল সামিটকে জিও-র ‘খেল’ বলে কটাক্ষ অধীরের
মুখ্যমন্ত্রীকে গ্যাস খাইয়ে বিনা পয়সায় ব্যবসা করে বেরিয়ে গেলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গেলেন আম্বানি-আদানিরা কার লোক?
'স্রেফ একটা ডায়লগ। আর তাতেই মাত হয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেঙ্গল বিজনেস সামিটে একাই খেল খেলালেন মুকেশ আম্বানি। মুখ্যমন্ত্রীকে গ্যাস খাইয়ে বিনা পয়সায় ব্যবসা করে বেরিয়ে গেলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গেলেন আম্বানি-আদানিরা কার লোক? বেঙ্গল সামিটে যা হল, তাতে রাজ্যজুড়ে জিও-র লাইন যাবে বিনা পয়সায়।' এক ডায়লগেই আম্বানির বিনা পয়সায় ব্যবসার ছাড়পত্র মিলে গেল বলে অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
[আরও পড়ুন:কার্যত গুরুত্ব হারাল সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্য সরকারের]
বেঙ্গল সামিট শেষ হতেই মমতাকে এক হাত নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বললেন, 'আম্বানি-আদানিরা বিজেপির লোক। তা কি জানেন না মুখ্যমন্ত্রী? তাঁদেরকেই আপ্যায়ন করে ডেকে এনে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় বাণিজ্য করতে চাইছেন। আর সেই সুযোগ পেয়ে মুকেশ আম্বানি তার সদ্ব্যবহার করলেন।'
তাঁর কথায়, 'আম্বানি স্রেফ একটা ডায়লগ দিলেন। 'ওয়েস্ট বেঙ্গল হল বেস্ট বেঙ্গল'। ব্যস তাতেই কাজ সারা। বাংলায় মাটি খুঁড়ে জিও-র বিস্তারের ছাড়পত্র মিলে গেল। একেবারে বিনা পয়সায় তিনি এই ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন। আর দিয়ে গেলেন আশ্বাস। সেই আশ্বাসের বিশ্বাসযোগ্যতা তখনই পাওয়া যাবে, যদি বিনিয়োগের বাস্তবায়ন হয় চোখের সামনে, তা গত তিন বছরের বেঙ্গল সামিটের পর দেখা যায়নি রাজ্যে।'
[আরও পড়ুন:আর বাম-জোটে সায় নেই অধীরের! প্রদেশ কংগ্রেসে পুনর্বহাল হয়েই কি বার্তা তৃণমূলকে]
অধীর চৌধুরী বলেন, 'সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে শিল্পকেই বিদায় করে দিয়েছিলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে বাংলায় আর শিল্প আসেনি। তাই শিল্প সম্মেলন করার আগে রাজ্যের উচিত ছিল টাটাগোষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বেঙ্গল সামিটে আপ্যায়ণ করে আনা। তার বদলে মুখ্যমন্ত্রী আপ্যায়ণ আনলেন আম্বানি-আদানিদের।'
এদিন নোয়াপাড়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে পদযাত্রায় অংশ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ করেন। বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী সব জেনেও বাংলার মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছেন। আম্বানি-আদানিরা যে কার লোক, তা সবথেকে ভালো জানেন মুখ্যমন্ত্রীই।' অধীরের কটাক্ষ, 'রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে রাজ্যের শিল্পপতিরাই বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে। সেখানে ভিনরাজ্যের শিল্পপতিরা কি সত্যিই বিনিয়োগ করবে। তাহলে আগেও তো অনেক প্রস্তাব মিলেছিল, তার কী হল, জানান মুখ্যমন্ত্রী।'