বাংলায় বন্ধ মাত্র ২৭৮টি কারখানা! পরে ব্যাখ্যা দিলেন শ্রমমন্ত্রী
সিপিএম বিধায়ক এস এম সাদি প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাজ্যে এখন শিল্পের ছবিটা কী, কত কারখানা বন্ধ, তা জানাক সরকার। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ২৭৮টি কারখানা বন্ধ। তাঁর এই উত্তরের পরই গুঞ্জন শুরু হয়। কারণ ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূল কংগ্রেসই অভিযোগ তুলত যে, রাজ্যে ৫৫ হাজার কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বামফ্রন্ট জমানায়। তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ৫৪,৭২২টি কারখানা খুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন?
বিষয়টি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বুঝতে পেরে পূর্ণেন্দুবাবু পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৭৮টি কারখানা হল বড় ও মাঝারি পর্যায়ের। এর বাইরেও অনেক ছোটো ছোটো কারখানা রয়েছে যেগুলি এখন বন্ধ। এই ছোটো কারখানাগুলিকে ধরলে সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবেই ৫৫ হাজার হবে। তাঁর দাবি, নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১৫-২০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। সুতরাং রাজ্যে বিপুল বেকারির দায় বামফ্রন্টকেই নিতে হবে। বরং নতুন সরকার বন্ধ থাকা কয়েকটি চটকল এবং চা বাগান খুলতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলি খুলতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা খোলসা করে বলেননি পূর্ণেন্দুবাবু। বিরোধীদের অভিযোগ, হিন্দুস্তান মোটরস এবং জেশপ খুলতে যে সরকার ব্যর্থ, তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করাই অন্যায়!
বণিক সংগঠনগুলির দাবি, বাংলায় নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরও রাজ্যে শিল্পের অবস্থা এমন কিছু উন্নতি লাভ করেনি। বিশেষত জমি পেতে পেতে এত সময় লাগে যে, বিরক্ত হয়ে শিল্পপতিরা এখানে বিনিয়োগ করতে চান না।