তৃণমূলের বাইক বাহিনীর তাণ্ডব! প্রতিবাদে মার, বসিরহাটে গ্রামছাড়া ৫০ টি ঘাসফুল পরিবার
তৃণমূলের বাইক বাহিনীর তাণ্ডব! প্রতিবাদে মার, বসিরহাটে গ্রামছাড়া ৫০ টি ঘাসফুল পরিবার
রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর তাণ্ডব, প্রতিবাদ করলে মার, গ্রামছাড়া তৃণমূলের ৫০ টি পরিবার। জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মডেল বাজার এলাকায় রাতে হলেই শুরু হয় বাইক বাহিনীর তান্ডব। দিনের পর দিন যেন তৃণমূলের বাইক বাহিনীর তান্ডব বেড়ে চলেছে গ্রামে।
সন্ধ্যে নামলে ভয়ে সিটিয়ে থাকে ভবানীপুর গ্রামের মানুষ। ওই প্রভাবশালী নেতার ভয়ে গত চার মাস প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার গ্রাম ছাড়া। কেউ আত্মীয়র বাড়িতে, কেউ অন্যত্র চলে গেছে। অভিযোগের তীর, হাসনাবাদ ব্লক ও জেলার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদের সদস্য বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে স্বয়ং তৃণমূলের দলের নেতা-কর্মী সমর্থকসহ গ্রামবাসীদেরও রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
তাণ্ডবের হাত থেকে বাঁচতে ঘরছাড়ারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর এক নম্বর, দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই নেতার মদতে এলাকায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বাইক মিছিল। প্রতিবাদ করলে রাতের অন্ধকারে এসে মারধর করে। সেই আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু পরিবার। এমনকি তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার গ্রামছাড়া।
আগেও ওই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে করোণা ও আম্ফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রতিবাদ করলে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় হাসনাবাদের মাখালগাছা। এরই মধ্যে প্রতিবাদ করে মার খেয়েছেন এক আইনজীবী মহিলা সহ তিনজন। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন।
আক্রান্তরা
জানান,
ওই
তাণ্ডবের
হাত
থেকে
বাদ
যায়নি
ছাত্র
ছাত্রীরা।
বসিরহাট
মহকুমা
আদালতের
তৃণমূলের
লিগাল
সেলের
আইনজীবী
জিয়ারুল
মোল্লা
বলেন,
'দুর্নীতি,
সন্ত্রাস,
রাতের
অন্ধকারে
বাইক
মিছিল-এর
প্রতিবাদ
করেছিলাম।
আমাকে
বেধড়ক
মারধর
করে
দুষ্কৃতীরা।
এছাড়াও
ওই
অঞ্চলের
সুপারভাইজার
মনিরুল
মোল্লা
অন্যায়ের
বিরুদ্ধে
মুখ
খুললেই
তাকে
মারধর
করা
হয়,
মারের
হাত
থেকে
রক্ষা
পায়নি
তার
স্ত্রী
রিনা
বিবি
ও
বোন
মিলি
সরদার।
গ্রামবাসীদের
অভিযোগ,
ওই
তৃণমূল
নেতার
বিরুদ্ধে
স্থানীয়
ভিডিও,
পুলিশ
প্রশাসনকে
জানিয়েও
কোনো
ফল
হয়নি।
পরে
জেলা
ও
তৃণমূলের
রাজ্য
তরে
অভিযোগ
জানানো
হলেও
সেই
আতঙ্ক
থেকে
গেছে
গ্রামে।
তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ওই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে জেলা নেতৃত্ব পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাকে হাসনাবাদ ও বসিরহাট উত্তর বিধানসভার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরানো হয়েছে। আগামী দিনে আরো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বলে জানা গিয়েছে।
তবে এদিন ওই প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে, এখানকার মানুষ সব জানে আসল তৃণমূল কংগ্রেসটা আমি করি, দলের বিরুদ্ধে কথা বলে তৃণমূল বিরুদ্ধে বদনাম করছে।
ভুল চিকিৎসায় মা ও সদ্যাজাতের মৃত্যুর অভিযোগ! উত্তপ্ত উওর ২৪ পরগনার আমডাঙা