মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া 'আসনে' বসলেন অভিষেক! ২৪-এর লক্ষ্যে পরিবর্তন মমতার
একুশের যুদ্ধ জয়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব আরও বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসে। বলা যায়, নেত্রীর পাশে থেকে লড়াইয়ের পুরস্কার পেলেন তিনি।
একুশের যুদ্ধ জয়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব আরও বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসে। বলা যায়, নেত্রীর পাশে থেকে লড়াইয়ের পুরস্কার পেলেন তিনি। পার্টির যুব সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব থেকে তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন। পার্টির যে পদে ছিলেন মুকুল রায়, সেই পদে এবার আনা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মুকুলের ছেড়ে যাওয়া পদে অভিষেক
২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস রদবদল করল সংগঠনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুব সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হবে। তারপরই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়, তিনি মুকুলের ছেড়ে যাওয়া পদে এলেন।
অভিষেক সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে উন্নীত
মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি তৃণমূল ছাড়তেই ওই পদে আনা হয় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে। এতদিন সুব্রত বক্সি একসঙ্গে দুই পদ সামলাচ্ছিলেন। তৃণমূল এক পদ এক নেতা নীতি নিয়ে অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে উন্নীত করা হল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই কার্যত সেকেন্ড ইন কম্যান্ড
মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই কার্যত সেকেন্ড ইন কম্যান্ড হয়ে উঠেছিলেন। শুধু নামে নয়, তিনি যে কাজেও সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তা বুঝিয়ে দিয়েছেন একুশের নির্বাচনে। একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেকই বাংলা চষে বেড়িয়েছেন এবং তৃণমূলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেওয়ার অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে উঠেছিলেন।
অভিষেক রাজনীতিতে সাবালক হয়ে উঠেছেন
আর বাংলার ভোট-পর্বে যেভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহ দ্বারা সমালোচিত হয়েছেন, তাতে তাঁর জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বিশেষভাবে বেড়ে গিয়েছে। আর রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করে, অভিষেক রাজনীতিতে সাবালক হয়ে উঠেছেন, তা যতই শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে নাবালক রাজনীতিবিদ হিসেবে হেয় করুন।
মিশন ২০২৪, অভিষেকের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বের আসনে
অভিষেকের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়তেই ২০২৪-এর নির্বাচনে তাঁকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়ে তৃণমূলকে রাজ্যে রাজ্যে বিস্তারের ক্ষেত্র তৈরি করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় আওয়াজ উঠেছে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই। ইতিমধ্যে #BengaliPrimeMinister ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। তাই অভিষেককে মুকুলের ছেড়ে যাওয়া পদে বসানোর পিছনে তাৎপর্য রয়েছে তৃণমূলের।
অভিষেক মুকুল রায়ের পদে, প্রশ্নে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি
একইসঙ্গে একথাও উঠছে, অভিষেক মুকুল রায়ের পদে বসে পড়ায়, তাঁর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি নিয়ে কি জটিলতা তৈরি হল। সম্প্রতি মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়ের ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা চলছে। আর মুকুল রায় বেশি পছন্দ করেন দলের সাংগঠনিক কাজ করতে। অভিষেক এখন সেই গুরুত্বের আসনে বসে পড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেকের গুরুত্বই এখন সর্বাধিক।