দাদার সঙ্গে ঝগড়া, বৌদির মান ভাঙাতে গিয়ে আমানবিকতার বলি দেওর! নৃশংসকাণ্ড
দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল বৌদি। দেওর ছুটেছিল বৌদির মান ভাঙিয়ে ফের ঘরে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু বৌদির বাপের বাড়িতে গিয়েই বাধল বিপত্তি।
দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল বৌদি। দেওর ছুটেছিল বৌদির মান ভাঙিয়ে ফের ঘরে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু বৌদির বাপের বাড়িতে গিয়েই বাধল বিপত্তি। বাপের বাড়ির পরিজনদের হাতে গণধোলাই খেলেন বছর ৩৫-র মিলন বিশ্বাস। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। মৃত্যু হল মিলনের।
নদিয়ার হাঁসখালিতে ঘটে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা। বৌদি মৌসুমী গত ৭ অক্টোবর বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে। আশা ছিল পুজোতে নিশ্চয় বৌদি ফিরে আসবে। কিন্তু বৌদি ফিরে আসেনি। শেষমেষ বৌদির মান ভাঙিয়ে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন মিলন। সঙ্গে গিয়েছিলেন দাদা লিটনও।
কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পরই লিটন ও মিলনের কপালে জুটল মার। একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে দু-ভাইকে বেধড়ক পেটানো হয়। সারা রাত ধরে চলে প্রহার। পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় দু-ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। মিলনকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। লিটন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
[আরও পড়ুন:নরবলি দেবীকে তুষ্ট করতে! একবিংশ শতাব্দীতেও মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের বলি হল শিশু]
এই ঘটনায় ছ-জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ লিটনের স্ত্রী মৌসুমী ও তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। পরিবারের অন্যান্যরা এই ঘটনায় পলাতক। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে মৌসুমীর সঙ্গে বিয়ে হয় লিটনের। কসমেটিক ব্যবসায়ী লিটনের বিয়ে হয় সম্বন্ধ করে। তাঁদের এক তিন বছরের সন্তানও রয়েছে।
[আরও পড়ুন:চিতায় তোলার পরই নড়ে উঠল মড়া! 'মিরাকেল' ঘটতে পারে, কিন্তু তারপর যা হল... ]