দোস্তিপুরে হোম চালাত বাসন্তী, বৃদ্ধাবাসে উদ্ধার ২০ শিশু
গ্রিনপার্কের বৃদ্ধাশ্রমের মালিক বিমল অধিকারীকে গ্রেফতার করার পরই প্রকাশ্যে এসে গেল হোমগুলির আড়ালে কীভাবে চলত শিশু পাচার। বৃদ্ধাশ্রম থেকে উদ্ধার ২০ শিশু!
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৬ নভেম্বর : সরকারি সহায়তায় হোমের আড়ালেই চলত বেআইনি শিশু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। তদন্ত নেমে সিআইডি-র হাতে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রিনপার্কের বৃদ্ধাশ্রমের মালিক বিমল অধিকারীকে গ্রেফতার করার পরই প্রকাশ্যে এসে গেল হোমগুলির আড়ালে কীভাবে চলত শিশু পাচার। বৃদ্ধাশ্রম থেকে উদ্ধার ২০ শিশু!
যে 'বাসন্তীদি' ১০ শিশুকে ঠাকুরপুকুরের মানসিক প্রতিবন্ধীদের হোমে নিয়ে এসেছিল, তার পরিচয়ও সামনে এসে গেল। এই বাসন্তীদি হল বাসন্তী চক্রবর্তী। দোস্তিপুরে একটি হোম চালাত বাসন্তী। নাম মিললেনিয়াম ওল্ডেজ বিহার। সেখানে হানা দিয়ে সিআইডি ২০ জন শিশুর সন্ধান পেল। দোস্তিপুর হোম সিজ করে ওই শিশুদের লক্ষ্মীকান্তপুরের একটি হোমে সরিয়ে দেওয়া হয় এদিন।
ভারতে বছরে ১ লক্ষ শিশু খোয়া যায়, শিশু চুরি ও পাচারে দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ
যৌন দাসত্বের কারবারে ভারতের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ
বিমল অধিকারীর সঙ্গেই বাসন্তী চক্রবর্তী এই শিশুবিক্রির ব্যবসা শুরু করে। আর দোস্তিপুরের হোমে শিশুদের রাখা হত। তারপর বিক্রির ব্যবস্থা হলে শিশুকে তুলে দেওয়া হত ক্রেতার হাতে। দোস্তিপুরের হোমে গিয়ে সিআইডি আধিকারিকরা দেখেন, চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রয়েছে শিশুরা।মাত্র একজন আয়া রয়েছেন অতগুলি শিশুকে দেখভালের জন্য। আসলে শিশু পাচারের ব্যবসা চালাতে গিয়ে শিশুদের প্রতি অবহেলার ছবিই প্রকট হয়েছে সর্বত্র।
এই শিশু পাচারের তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পেরেছে দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতা ছাড়া আরও তিনটি জেলায় এই জাল ছড়িয়ে রয়েছে। বহু নামী চিকিৎসক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আমরা তাঁদের নামের তালিকা করছি। শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ঠাকুরপুকুর থেকে বহু নথি উদ্ধার করা হয়েছে শিশু পাচার সংক্রান্ত। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হয়তো আরও বিস্ফোরণ অপেক্ষা করে আছে এই শিশু পাচারের ঘটনায়।