সংক্রমণের ভয়ে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, জঙ্গলে দিন কাটছে ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের
সংক্রমণের ভয়ে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, জঙ্গলে দিন কাটছে ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে স্থানীয়রা গ্রামের ভেতর তৈরি হওয়া কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিল না ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিককে। ওই শ্রমিকরা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা।
জঙ্গলে থাকছেন শ্রমিকরা
কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে আশ্রয় না পেয়ে ওই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে গ্রাম সংলগ্ন বেরাবান জঙ্গলে থাকছেন। একটি তাঁবুর মধ্যেই রয়েছেন সকলে, সেখানে নেই কোনও পর্যাপ্ত জল ও কাবারের ব্যবস্থা, না রয়েছে কোনও প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন হওয়ার কারণে চার মাস রাজস্থানেই আটকে ছিলেন এই পরিযায়ী শ্রমিকরা।
প্রতিবাদ দেখান গ্রামবাসীরা
তাঁরা যখন বাঁকুড়া জেলার জগদল্লা গ্রামে এসে পৌঁছান এবং গ্রামের স্কুলের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে সেলফ-কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য প্রবেশ করতে যান, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তীব্রভাবে প্রতিবাদ করেন এবং কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেন। কারণ গ্রামবাসীদের ভয় রয়েছে যে তাঁদের গ্রামেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গ্রামবাসীদের বোঝাতে ব্যর্থ স্থানীয় পুলিশ–প্রশাসন
সূত্রের খবর, স্থানীয় পুলিশ এবং পঞ্চায়েতের সদস্যরা গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করান যে শ্রমিকরা কড়া কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাই সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় নেই। কিন্তু গ্রামবাসীদের বোঝাতে ব্যর্থ হয় তাঁরা। অনিকেত গোস্বামী নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘স্কুলটি আমাদের গ্রামের ঠিক পাশেই। যদি তাঁরা সেখানে থাকেন এবং টেস্ট করার পর পজিটিভ আসে, তাঁদের মধ্য দিয়েই হয়ত কোভিড-১৯ সংক্রমিত হতে পারে গ্রামে। আমরা শ্রমিকদের ওই স্কুলবাড়িতে থাকার অনুমতি দেব না।'
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা
গত ১ মে থেকে চালু হওয়া শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের নিজের বাড়িতে ফিরছেন। তবে তাঁদের প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং তারপরই বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিজ নিজ জেলা বা গ্রামে তৈরি হওয়া সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
সোনার
দাম
হু
হু
করে
কমতির
দিকে!
কলকাতায়
আজ
দরের
গতি
কোনদিকে