মুখ রক্ষা করতে সিদ্ধান্তে বদল, ‘হোয়্যার ইজ পেং শুয়াই’ শার্ট পরার ছাড়পত্র দিল টেনিস অস্ট্রেলিয়া
মুখ রক্ষা করতে সিদ্ধান্তে বদল, ‘হোয়্যার ইজ পেং শুয়াই’ শার্ট পরার ছাড়পত্র দিল টেনিস অস্ট্রেলিয়া
টেনিস প্রেমীরা চাইলে 'হোয়্যার ইজ পেং শুয়াই' লেখা শার্ট এবং টি-শার্ট পরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আসতে পারেন। এমনটাই জানালেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রধান ক্রেগ টিলে।
রবিবার একদশ সমর্থক "হোয়্যার ইজ পেং শুই?" লেখা টি-শার্ট পরে মেলবোর্ন পার্কে এলে তাঁদের সেই টি-শার্ট খোলার নির্দেশ দেন অজি ওপেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার আধিকারিকরা। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজকদের মানসিকতা নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মহিলা টেনিসের কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। সমর্থকরা পেং শুয়াইয়ের সমর্থনে যে টি-শার্ট পরে এসেছিল তা খুলতে বাধ্য করার ঘটনাকে এক হাত নিয়ে নাভ্রাতিলোভা টুইট করে লিখেছেন, "এটা মর্মান্তিক। এই বিষয়ে একাকী পড়ে মহিলা টেনিস অ্যাসোসিয়েশন।" হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তিনিও লেখেন, "হোয়ার ইজ পেং শুয়াই।"
এর পরই পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আয়োজকরা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টুর্নামেন্টের প্রধান ক্রেগ টিলে এএফপি'কে জানিয়েছে, পেং শুয়াইয়ের সমর্থনে এই টি-শার্ট পরে টেনিস কোর্টে আসতে পারেন সমর্থকেরা কিন্তু ততক্ষণই এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকতে যতক্ষণ না পর্যন্ত তা কোনও বিশৃঙ্খল আকার ধারণ করছে। একই সঙ্গে নিজেদের অবস্থানের পক্ষে সাফাই দিয়ে তিনি বলেছেন, "কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে আমরা ছিলাম না এবং পুরো বিষয়টাও জানি না। ঘটনা হল বিগত দু'দিন কিছু মানুষ বড় ব্যানার নিয়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন, এটার ছাড়পত্র আমরা দিতে পারি না। আপনি যদি টেনিস উপভোগ করতে আসেন তা হলে ঠিক আছে, কিন্তু আমরা কাউকে সমস্যা তৈরি করতে দিতে পারি না।"
নাভ্রাতিলোভার পাশাপাশি আয়োজকদের তিরস্কার করে ফরাসি টেনিস তারকা নিকোলাস মাহুত টুইটারে লিখেছেন, "কী হচ্ছে! কোথায় সাহসের অভাব হচ্ছে? যদি চিনা বিনিয়োগকারী না থাকে তো কী হবে?" অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের অন্যতম স্পনসর চিনা সংস্থা লুঝাউ লাওজিয়াও।
উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তথা দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রিমিয়ার ঝাং গাওলির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন শুয়াই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্টের পর থেকে তিন সপ্তাহ তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে সাধারণের সামনে এসে টেনিস সার্কিটকে সব ধরনের চিন্তা থেকে অব্যহতি দেন পেং শুয়াই। এখনও অনেকেই মনে করেন পুরোপুরি ভাবে হয়তো মুক্ত নন শুয়াই।