Novak Djokovic: টিকাকরণের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না; জকোভিচ
টিকাকরণের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না; জকোভিচ
একের পর এক নাটকীয় পালাবদলের পর শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামতে পারেননি নোভাক জকোভিচ। টুর্নামেন্টের এক দিন আগেই বিদায় নিতে হয়েছে নোভাককে। প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে ফরাসি ওপেনে তাঁর অংশগ্রহণ।
এই পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক, জানিয়ে দিলেন তিনি টিকাকরণের বিরুদ্ধে নয় কিন্তু তাঁকে কোভিড-১৯ টিকা নিতে জোর করলে তিনি কোনও গ্র্যান্ডস্ল্যামেই অংশ নেবেন না।
ভ্যাকসিন না নেওয়া ফলে তিনি যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য যেতে পারবেন না তা মেনে নিয়েও বিবিসি'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোকার বলেছেন, "আমি তৈরি এর জন্য দাম চোকাতে (গ্র্যন্ডস্ল্যাম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে)।"
সার্বিয়ার এই টেনিস তারকা জানিয়েছএন মাইলস্টোন হাচছাড়া করতে হলেও তিনি সবার আগে বেছে নেবেন 'পছন্দের স্বাধীনতা'কে। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামে অংশ না নিতে পারা জোকার বলেছেন, "আমি কখনওই টিকা করণের বিরুদ্ধে ছিলাম না।" তিনি জানিয়েছিলেন, ছোট বয়সেও তাঁরে টিকা নিতে হয়েছিল। তাঁর আরও সংযোজন, "নিজের শরীরে কী নেব সেটা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাকে আমি সর্বদা সমর্থন করি। আমি জানি সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অত্যন্ত মরিয়া ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা এই ভাইরাসের ইতি দেখতে পাব।"
২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক নোভাক জকোভিচ শীর্ষ বাছাই হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নোভাক যদি এই গ্র্যান্ডস্ল্যামে খেলতেন তা হলে রাফায়েল নাদালের পক্ষে রেকর্ড তৈরি করে ২১তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতাটা খুব সহজ হত না।
উল্লেখ্য, টিকা না নেওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিমানবন্দরেই জকোভিচের ভিসা বাতিল করে দেয় অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা। তাঁকে রাখা হয়েছিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন হোটেলে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে হলে কোভিডের জন্য বেধে দেওয়া নিয়ম পালন করতে হবে। যেই হোক না কেন কোভিড প্রটোকল ঠিক মতো না মেনে থাকলে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় জকোভিচ। আদালতের রায় যায় তাঁর পক্ষে এবং নোভাককে ডিটেনশন হোটেল থেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় অভিবাসন দফতর। এর কিছু দিন পর অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী নিজের বিশেষ ক্ষমতায় ফের বাতিল করে দেন নোভাকের ভিসা। আবারও সার্বিয়ার টেনিস তারকা দ্বারস্থ হন আদালতের। তবে এ বার শেষ রক্ষা হয়নি। অস্ট্রেলীয় সরকারের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল ফেডারাল কোর্ট। দ্বিতীয়বার ভিসা বাতিল হওয়ার পর আর অস্ট্রেলিয়ায় থাকা হয়নি নোভাক জকোভিচের। সরকারের পক্ষে যুক্তি ছিল, স্বাস্থ্য এবং নিয়ম শৃঙ্খলার ভিত্তিতে নোভাক জকোভিচের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর সঙ্গে জনস্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে।