হতাশা একটা সময়ে আত্মহননের কথা ভাবতেও বাধ্য করেছিল এই টেনিস তারকাকে
হতাশা একটা সময়ে আত্মহননের কথা ভাবতেও বাধ্য করেছিল এই টেনিস তারকাকে
একটা সময়ে মানসিক ভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে জীবন শেষ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার টেনিস তারকা নিক কিরগিওস। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই অন্ধকারময় সময়ে স্মৃতি তুলে ধরেছেন নিক। তিনি জানিয়েছেন ২০১৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আশে পাশের সময়টা তাঁর জীবনের "এক অন্ধকারময় অধ্যায়।"
নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে কিরগিওস জানান তিন বছর আগে মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, "আপনি যদি ভাল ভাবে আমার ডান হাতের দিকে লক্ষ্য করেন তা হলে (আমার) নিজেকে আঘাত করার চিহ্ন দেখতে পাবেন। আমার মনে আত্মহননের চিন্তাও এসেছিল, বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতাম না, লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে একা খেলার জন্য প্রহর গুণতাম। একাকিত্ব আমায় ঘিরে ধরেছিল। বিভিন্ন রকম নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা মাথায় আসতো। ড্রাগস, অ্যালকোহল আমার কাছ থেকে পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। এমন অবস্থায় চলে গিয়েছিলাম যেখানে আমার মনে হতো আমার সঙ্গে কথা বলার কেউ নেই, আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। খোলা মনে নিজেকে উন্মুক্ত করতে না পারায় এবং আমার প্রিয়জনদের প্রতি বেশি সময় না দিতে পারায়, তাঁদের সঙ্গে বেশি সময় না দিতে পারার ফলেই মানসিক অবসাদ থেকেই এমনটা হয়েছিল।"
এটিপি ক্রমতালিকায় ১৩ নম্বরে থাকা কিরগিওস এক ধাক্কায় ১৩৭-এ নেমে গিয়েছেন। গত মরসুমে চোট সহ একাধিক কারণে খেলতে না পারায় এতটা নেমে গিয়েছে নিকের র্যাঙ্কিং। কিরগিওসের আরও সংযোজন, "আমি জানি দৈনন্দিন জীবন এক ঘেয়ে হয়ে ওঠে, একটা সময়ে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আমি বুঝতে পারি আপনি যদি এই বিষয়ে খোলা খুলি কথা বলেন তা হলে আপনি নিজেকে দুর্বল ভাববেন বা ভয় পাবেন এই নিয়ে কথা বলতে। আমি আপনাকে বলছি সব ঠিক আছে, আপনি একা নন।"
তবে, সেই সব কালো অধ্যায় আজ জীবন থেকে বিদায় নিয়েছে নিক কিরগিওসের। সমস্ত অন্ধকার কাটিয়ে উঠে ফের আলোর দিশায় হাঁটা শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ার টেনিস তারকা। তিনি বলেছেন, "আমি বলতে গর্ব বোধ করছি যে ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছি এবং নিজেকে সম্পূর্ণ ওই পথ থেকে ঘুরিয়ে নিয়েছি। সব কিছু এখন অন্য নজরে দেখি। এক মুহূর্তকেও আমি নষ্ট করি না। এই জীবনটাই সুন্দর।" ২০২২ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ডবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নিক কিরগিওস।