বিডিওর পর এবার পুলিশ আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি! বাম-সরকারের সঙ্গে তুলনায় ফের বিতর্কিত মন্তব্য অরূপ চক্রবর্তীর
প্রায় মাস খানের আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিডিওদের। এবার দিলেন থানার আধিকারিকদের। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বাম-বিজেপি।
নিজের এলাকার বিডিওকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে এবার থানার বড়বাবুদের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের তালড্যাংড়ার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। এদিন তিনি নিজের এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে থানার পুলিশ আধিকারিকদের ঘাড় ধরে বিতাড়িত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও, অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
বাম সরকারের সঙ্গে তুলনা
বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার দুবরাজপুর গ্রামে গিয়েছিলেন দিদির দূত অরূপ চক্রবর্তী। সেখানে তিনি আগেকার বাম সরকারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আগে একটা সরকার ছিল। তখন ডায়েরি করতে গেলে থানার দারোগাবাবুরা গ্রামের লোকের ডায়েরি নিত না। লোকাল কমিটি না বললে পুলিশ ডায়েরি ছুঁড়ে ফেলে দিত বলেও মন্তব্য করেন অরূপ চক্রবর্তী। আর আজ থানায় গেলে কোনও অভিযোগ করলে পুলিশ অফিসার ডায়েরি লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য।
বিধায়কের নিশানায় থানার বড়বাবুরা
যদিও কোনও পুলিশ অফিসার গ্রামের অত্যাচারিত মানুষের ডায়েরি থানায় লিপিবদ্ধ না করেন, তাহলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপারকে একটা টেলিফোন করবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে থানা থেকে সেই অফিসারকে বিতাড়িত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অরূপ চক্রবর্তী বলেন, এই সরকারকে মানুষের সরকার। এরসঙ্গেই তিনি আগে তাঁর দেওয়া বিডিওদের হুঁশিয়ারির কথাও উল্লেখ করেন।
কটাক্ষ সিপিএম-বিজেপির
বিধায়কের
এই
মন্তব্যকে
কটাক্ষ
করেছে
সিপিএম
ও
বিজেপি।
জেলা
সিপিএম
নেতৃত্বের
তরফে
পাল্টা
দাবি
করে
বলা
হয়েছে,
বাম
আমলে
বিরোধীরা
থানায়
গিয়ে
অভিযোগ
জানাতে
পারতেন।
কিন্তু
এখন
থানায়
বিরোধীদের
কোনও
গুরুত্ব
দেওয়া
হয়
না।
কোনও
পুলিশ
আধিকারিক
কোনও
অত্যাচারিতের
অভিযোগ
নিলে,
তাঁকেই
থানা
থেকে
সরিয়ে
দেওয়া
হয়
বলেও
মন্তব্য
জেলা
সিপিএম
নেতৃত্বের।
সেক্ষেত্রে
যাঁরা
অভিযোগ
নেন
না,
তাঁরাই
সেই
থানায়
দিনের
পর
দিন
রয়ে
যাচ্ছেন
বলে
দাবি
সিপিএম-এর।
অন্যদিকে
জেলা
বিজেপি
নেতৃত্বের
অভিযোগ,
বাম
আমলে
পুলিশকে
নিয়ন্ত্রণ
করত
দল।
আর
এখন
পুলিশ
দলদাসে
পরিণত।
বিডিওদের হুঁশিয়ারি দিয়ে কী বলেছিলেন তিনি
প্রায় মাসখানের আগে আবাস বিতর্কে দলীয় সভা থেকে বিডিওকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছিল তালড্যাংড়ার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। তিনি বলেছিলেন, দোতলা বাড়ির মালিক আবাস যোজনায় সুবিধা পেলে বিডিওদের চাকরি থাকবে না। তিনি আরও বলেছিলেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগ তুলে বিডিওকে সরকারি পদ থএকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা তিনি করবেন। সেই সময় সিপিআইএম এবং বিজেপির পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের কটাক্ষ করে বলা হয়েছিল, বিরোধীদের অভিযোগেই সিলমোহর দিয়েছেন বিধায়ক। পাশাপাশি তাদের প্রশ্ন ছিল, বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উনি কে? তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি পদের অবমাননার অভিযোগও তুলেছিলেন বিরোধীরা।