‘মমতা জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তাটাও জানতেন না, চিনিয়েছিলেন এই শুভেন্দু’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে ঢোকা নিয়ে আগে নানা বাঁকাচোরা মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু, এবার তিনি জঙ্গলমহল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে ঢোকা নিয়ে আগে নানা বাঁকাচোরা মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু, এবার তিনি জঙ্গলমহল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করলেন। শুভেন্দু সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন, জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তাটাও জানতেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা তাঁকে এই শুভেন্দুই দেখিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রাইপুরের সভা থেকে খোঁচা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার বানিয়েছি আমি। নন্দীগ্রামে তাঁকে হারিয়েছি, এবার জঙ্গলমহলেও তাঁকে হারাব। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাঁকে রিজেক্ট করে দেবেন। শুভেন্দু বলেন, জঙ্গলমহলের মানুষ গোটা রাজ্যের মানুষের মতোই নিপীড়িত এই সরকাররে আমলে। তাই গ্রামের মানুষেকে অধিকার বুঝে নিতে হবে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে হবে।
বিরোধী দলনেতা এদিন জঙ্গলমহলের একাংশ থেকে এদিন আওয়াজ তোলেন, আপনারা কী মানবেন, কলকাতার গুটি কয়েক লোক রাঢ়বঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে শাসন করবে। যিনি জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তাটাই জানতেন না, তাঁর হাতে ক্ষমতা! শুভেন্দু এই মর্মে স্মৃতিচারণ করেন ২০১০ সালের ২১ জুলাইয়ের সভার।
তিনি বলেন, ২০১০ সালের ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে আমার দিকে তাকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ৯ অগাস্ট লালগড়ে একটা সভা করতে চাই, শুভেন্দু পারবি করতে? সেই সভা করে দেখিয়েছিলাম। সিপিএমের অত্যাচার ও হার্মাদদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম জঙ্গলমহলের মানুষকে নিয়ে। আপনারা সকলেই জানেন তার সুফল ২০১১ সালে পেয়েছিলেন মমতা বন্যোা পাধ্যায়।
কিন্তু তার সুফল পেয়েও জঙ্গলমহলের মানুষ ব্রাত্য। তাই জঙ্গলমহলের মানুষ নিশ্চয় তা ভুলে যাবেন না। ৫০০ টাকা ছুড়ে দিয়ে আর সামান্য চাল দিয়ে আজ কলকাতার গুটিকয়েক লোক বাংলাকে শাসন করে যাবে, তা মানা সম্ভব নয়। এদের বিদায় দিয়ে একটা ডাবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার শপথ নিয়েছি আমরা। এই বিজেপি আসল বিরোধী দল। সেটিং করা বিরোধী দল নয়।
এদিনের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক হাত নেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, বিগত দিনেও নানা দুর্নীতি প্রকাশ করেছি, তৈরি থাকুন, বুধবার আরও এক তথ্য সামনে আনব। রবিবার একটি টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। লিখেছিলেন কয়লা ভাইপোর ছেলের জন্মদিনে সুরক্ষা ব্যবস্থার এলাহি আয়োজন করা হয়েছে। তারপরই তৃণমূল পাল্টা বিবৃতি দিয়েছিল এবং 'গেট ওয়েল সুন' মেসেস পাঠানোর অভিযান শুরু করেছিল।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন গ্রেফতার নন দিলীপ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ অভিষেকের