ঝালদায় তপন কান্দু খুনের তদন্তে তৎপর পুলিশ, সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ, মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা
ঝালদায় তপন কান্দু খুনের তদন্তে তৎপর পুলিশ, সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ, মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা
ঝালদায় কাউন্সিলরের খুনির স্কেচ প্রকাশ করল পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে মোটা টাকা পুরস্কারও। খুনিকে ধরে দিতে পারলে মোটা টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঝালদা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তপন কান্দু খুনে স্কেচ প্রকাশ
ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে অপরাধীর স্কেচ প্রকাশ করল পুলিশ। খুনিকে ধরিয়ে দিতে পারলে মোটা টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান। তিনি জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে অপরাধীর স্কেচ। তার সন্ধান যিনি দেবেন তাঁর নাম এবং পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। এই ঘটনায় আগেই কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুপারি কিলার দিয়ে খুন
কাউন্সিলর তপন কান্দুকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানো হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। কংগ্রেস কাউন্সিলারকে খুনের সুপারি দিয়ে বাইরের রাজ্য থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল খুনিকে। তদন্তে জানা গিয়েছে আততায়ীরা এসেছিল ভিন রাজ্য থেকে। জেলা পুলিশের সঙ্গে সিআইডি গোয়েন্দারাও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ঘটনার দিন যাঁরা সেখানে ছিলেন তাঁদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে সুপারি কিলারকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
গ্রেফতার ভাইপো
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরই ভাইপো দীপক কান্দুকে। দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই শত্রুতা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তপন কান্দুর পরিবারের দাবি তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। দীপক কান্দু এবং তাঁর পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী তাঁরা। কাজেই এই ঘটনায় দীপক কান্দুর হাত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
তপন কান্দুর পরিবারের দাবির পর দীপক কান্দু এবং ঝালদার আইসির টেলিফোনে কথোপকথনের একটি অডিও টেপ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটা প্রকাশ্যে আসার পরেই আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।তাকে তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর কথা বলা হচ্ছিল। তারপরেই এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ঘটনার তদন্তে পুরুলিয়ার উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারীকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে কোভিড, আগাম সতর্কতা নিতে বৈঠক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়ার